গৃহশিক্ষক ছাড়াই মাধ্যমিকে তৃতীয় বীরভূম কন্যা, দিনে কতক্ষন পড়ত পুষ্পিতা?

গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়েছে মাধ্যমিকের ফলাফল। আর এই ফলাফল ঘোষণার পর দেখা গিয়েছে মাধ্যমিকে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে বীরভূমের ইলামবাজার থানার কামারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা পুষ্পিতা বাঁশুড়ি। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৯১। তার এই সাফল্যে গোটা গ্রামে ও তাদের পরিবারে খুশির হাওয়া। মেয়ের এই সাফল্যে গর্বিত বাবা ও মা। পুষ্পিতা জানিয়েছে, দিনে ১০ ঘন্টা পড়ার চেষ্টা করত সে।

সে নিজের সাফল্য সম্পর্কে নিশ্চিত ছিল। তবে গোটা রাজ্যের মধ্যে তৃতীয় হবে তা ভাবতে পারেনি। পুষ্পিতা গোটা রাজ্যে তৃতীয় ও মেয়েদের মধ্যে প্রথম হয়েছে। বড় হয়ে কী হতে চাও? এই প্রশ্নের উত্তরে সে জানায়, বড় হয়ে বিজ্ঞান নিয়ে গবেষণা করতে চায়। তার কথায়, “ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এন্ট্রান্স পরীক্ষায় বসতে চাই। আমার মা বাবা সবসময় আমার পাশে ছিলেন। স্কুলের শিক্ষকরা আমার পাশে সবসময় ছিলেন।”

পুষ্পিতার মা তনুশ্রী দেবী জানিয়েছেন, “আমরা আশা করেছিলাম যে ও মাধ্যমিকে একটা ভালো জায়গায় থাকবে। কিন্তু এতটা ভালো করবে এটা ভাবতে পারিনি। ছোট থেকে ওর মধ্য়ে একটা চেষ্টা ছিল যে আমায় কিছু একটা ভালো করতে হবে। ওর চেষ্টার কোনও ত্রুটি ছিল না। একজন প্রাইভেট টিউশনও ছিল না। নিজের চেষ্টাতে করেছে।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা যতটা পেরেছি ততটা করেছি। আমার স্কুলের সহকর্মীরাও খুব সহায়তা করেছে। খুব লড়াই করেছে মেয়েটা। মেয়ে বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে চায়। তারপর দেখা যাক কী হয়। ইঞ্জিনিরায়িং নিয়ে পড়তে চায়।” পুষ্পিতার মা তনুশ্রী বাঁশুড়ি একজন পার্শ্বশিক্ষক ও বাবা সত্যনারায়ণ বাঁশুড়ি গৃহশিক্ষক। তাই আর কোনো গৃহশিক্ষকের প্রয়োজন হয়নি পুষ্পিতার।

বাবা ও মায়ের সহযোগীতায় সে এগিয়ে গিয়েছে। মায়ের স্কুলের দিদিমণিরাও সাহায্য করেছে তাকে। গান গাইতে ভালোবাসে পুষ্পিতা। আগামী দিনে বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে চায় সে।

আরও পড়ুন,
*চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন মাধ্যমিকে প্রথম চন্দ্রচূড় সেনের
*মাধ্যমিকের প্রথম ও দ্বিতীয়, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেন না রিলসের কোন নেশা নেই