বলিউডে তার যাত্রাপথ খুব একটা সহজ ছিল না। অনেক ঘাতপ্রতিঘাত পেরিয়ে অবশেষে তিনি সকলের প্রিয় সতীশ শাহ হয়ে উঠেছিলেন। গতকাল ২৫শে অক্টোবর শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে ভুগছিলেন কিডনির সমস্যায়। দীপাবলির দিন বলিউডের জনপ্রিয় হাসির রাজা আসরানির মৃত্যু হয়। এরপর ফের বলিউড হারালো আরেক নক্ষত্রকে। একের পর এক নক্ষত্রের মৃত্যুতে ম্রিয়মাণ বলিউড।
সতীশ শাহ-এর সিনেমার তালিকা বানাতে বসলে সেই তালিকা দীর্ঘ হতে থাকবে। ‘ম্যায় হুঁ না’, ‘যানে ভি দো ইয়ারো’ সহ একাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন সতীশ শাহ। কিন্তু ভবিষ্যতের এই মসৃণ পথের জন্য শুরুতে কতটা প্রতিকূলতা সহ্য করতে হয়েছে তাকে? দর্শকদের কাঁদানো যত সহজ, মুখে হাসি আনা ততটাই কঠিন। আর সেটিই খুব সহজভাবে করতেন সতীশ শাহ। জানা যায়, তিনি ১০০টিরও বেশি ছবিতে অভিনয় করার পরেও তাকে অনেকে অভিনেতা হিসেবে ভাবতেই পারতেন না।
একবার নিজের মুখেই তিনি সেই কথা জানিয়েছিলেন এক সাক্ষাৎকারে। ২০২৩ সালে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, পরিচালকেরা তাকে সবরকম চরিত্রে ভাবতে পারতেন না। অনেকে আবার মনে করতেন, তার চেহারার জন্য তাকে সবরকম চরিত্রে মানায় না। তিনি ওই সাক্ষাৎকারে বলেন, তিনি কারোর সঙ্গে যখন দেখা করতে যেতেন কেউ তাকে অভিনেতা হিসেবে ভাবতেই পারতো না।

আফসোস করে সতীশ বলেন, কেউ কেউ তাকে দেখলে ভাবতো সতীশ হয়তো সিনেমাটোগ্রাফার, আবার কেউ ভাবতেন তিনি সিনেমার এডিটর। তিনি বরাবর তার নিজস্ব ব্যক্তিত্ব নিয়ে মনখারাপ করতেন। তার কথায়, তার ব্যক্তিত্ব তাকে কখনও তার পেশায় অনুকূলে দাঁড়ায়নি। বরং তার সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করতেন তিনি। যদিও অভিনেতার জীবনের মোড় ঘুরে যায় ১৯৮৪ সালে ‘ইয়ে জো হ্যায় জিন্দেগী’-এর হাত ধরে। ছোটো পর্দায় জমিয়ে অভিনয় করেছেন তিনি।
বিনোদন
কিংবদন্তি হিসাবে চিরস্মরণীয় থাকবেন কৌতুক অভিনেতা সতীশ শাহ! প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শোকবার্তা
