গণেশের বড় বড় কান থাকে কেন জানেন? দেহে প্রত্যেক অঙ্গের মর্মার্থ রয়েছে

তিনি হলেন সিদ্ধিদাতা গণেশ। তার শুভ কামনায় ঘরে ঘরে আসে সুখ প্রসারণ। তিনিই আবার বিঘ্নহর্তা, অথবা তিনি আবার সবার বাধা-বিপত্তিকে ধ্বংস করেন। তাঁর চতুর হস্তে। এক একটা হাতে এক এক রকম জিনিস থাকে। ওইগুলি শুধুমাত্র হাত নয়। গণেশের দেহে প্রত্যেক অঙ্গের মর্মার্থ রয়েছে। সেগুলি কি জানেন?

দুই দাঁত:- গণেশের মুখের দুই গজদাঁত ঠিক ও ভুলের চিহ্ন! ব্যাকুলতা এবং প্রকৃতির চিহ্ন। দুই দন্ত মানে দুটি রুচিসংগত! যা আমাদের শিক্ষা দেয়, জীবনের সবকিছুর ঠিক সিদ্ধান্ত নিতে।

মাথা:- হাতির মস্তক বড় হয়! তাই সিদ্ধিদাতা গণেশেরও মস্তক বড়। যার মানে বৃহৎ চিন্তা কর, সীমাবদ্ধতার ওপরে ভাবতে শেখায়।

ছোট চোখ:- সিদ্ধিদাতা শ্রী গনেশের ছোট চোখের অর্থ হলো বেশি মনোযোগী অর্থাৎ বেশি মনোযোগ দিয়ে ভবিষ্যৎ দেখার প্রয়াস করে, আজকাল চতুর্দিকের অবস্থা দর্শন বিচারে।
বড় শুঁড়:- শ্রী গনেশের বৃহৎ শুঁড় গ্রহণযোগ্যতার চিহ্ন, যা আমাদের শিক্ষা দেয় জীবনে যেমন সময়ই আসুক না কেন, তার সাথে পা মিলিয়ে নাও! কঠিন সময়ে পারদর্শী হয়ে সংরক্ষণ করতে হবে।

চার হাত:- গণেশের চতুরহস্ত চারটি চিহ্নের প্রতীক! এক হস্তে আছে কুঠার, যার মানে বোঝায় আগের যা ভালো মন্দ তা কেটে ফেলো। বর্তমান সময় নিয়ে বাঁচো। এক হস্তে কমল, এর অর্থ মনকে সব সময় জাগিয়ে রাখো। আরে হস্তে সকলকে আশীর্বাদ করছে! ৪ নাম্বার হস্তে থাকে সুতো! যার মানে, কল্পনা ছেড়ে মুক্তির দিকে এগিয়ে চলো।

বড় কান:- হস্তির মত শ্রী গনেশেরও বড় কান যার অর্থ হল, শোনায় অভ্যস্ত কর। যার মানে হল মন দিয়ে শোনা! তারপর যা কিছু নিরর্থক, সেইগুলি সব জীবন থেকে বাতিল করে দাও।

আরও পড়ুন,
*গণেশ চতুর্দশীতে তৈরি করে ফেলুন গনেশের প্রিয় মিষ্টি মোদক

error: Content is protected !!