kmc 20240713 235011

আমাদের একটি সামাজিক ধারণা রয়েছে প্রতিটি ছেলে ও মেয়ে তাদের লিঙ্গ অনুযায়ী কেমন আচরণ করবে। অর্থাৎ সমাজ আমাদের মনের মধ্যে পুরুষ ও নারীর আচরণের সংজ্ঞা এঁকে দেয়। কিন্তু সেই সংজ্ঞা আসলে কতটা সঠিক তা বিচার করার নেই কোনো মাপকাঠি। কারণ একটি ছেলে বা একটি মেয়ে যখন সমাজের চিরাচরিত আচরণের সংজ্ঞা থেকে বেরিয়ে অন্যরূপ আচরণ করে তখন তাকে নিয়ে আলোচনার শেষ থাকে না।

কোনো পুরুষের মধ্যে যদি ‘পুরুষত্ব’-এর আচরণ কম পড়ে তাহলে তাকে নানান তির্যক মন্তব্যের মুখোমুখি হতে হয়৷ সম্প্রতি ‘বিজয়া’ সিরিজে রয়েছে এমনই এক পুরুষ যার চারিত্রিক গঠন নারীসুলভ। আর এই পুরুষের চরিত্রে অভিনয় করেছেন জিৎ সুন্দর চক্রবর্তী। সিরিজে এই চরিত্রের নাম ‘অহন’। জিৎ জানান প্রথম তার কাছে যখন চরিত্রটি করার প্রস্তাব আসে তখন তিনি ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন।

জিৎ-এর কথায়, “এই ধরনের চরিত্র আমরা পর্দায় তো খুব একটা দেখি না। কিন্তু বাস্তবে আমাদের চারপাশে এমন বহু মানুষ রয়েছেন। তাই প্রাথমিক ভাবে এই চরিত্রটা নিয়ে একটু ভয়ে ছিলাম। পাশাপাশি আনন্দও হয়েছিল এই সুযোগটা পেয়ে।” নারীসুলভ চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে যাতে চরিত্রের অভিনয় ব্যঙ্গাত্মক না হয়ে যায় সেদিকে কড়া নজর ছিল তার। তার কথায়, “এই চরিত্রটি করতে গিয়ে যাতে ব্যঙ্গ না মনে হয় বা সংবেদনহীন বার্তা না পৌঁছয়, সেই দিকে সতর্ক ছিলাম।”

জিৎ জানান, এই চরিত্রে অভিনয় করার প্রস্তাব দেওয়ার পর তিনি মনোবিদের সঙ্গে কথা বলেন। এর পাশাপাশি এমন পুরুষের মনের গতিপ্রকৃতি বোঝার চেষ্টা করতেন। তার কথায়, “অহনের মন ও তার চিন্তাভাবনা বুঝে ওঠাই আমার প্রথম কাজ ছিল।” তার কথায়, এই চরিত্রে অভিনয় করতে গেলে চরিত্রটির প্রতি সহানুভূতি নয়, বরং সহমর্মিতা থাকতে হবে।

জিৎ-এর সঙ্গে তার অভিনীত চরিত্রটি সম্পূর্ণ আলাদা। তার বড় হয়ে ওঠা বা চিন্তাভাবনা ও চাহিদার সঙ্গে কখনি মেলে না৷ আর তাই তার কাছে এই চরিত্রে অভিনয় করা বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল। তার কথায়, অহনের চরিত্র বোঝার জন্য পরিচালক সায়ন্তন ঘোষালের পাশাপাশি তিনি অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের সাহায্য পেয়েছন। এর পাশাপাশি তিনি স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাজ করে যে বেশ খুশি হয়েছেন তাও জানাতে ভোলেননি৷