শরীর সুস্থ রাখতে করুন এই ব্যায়াম, জেনে নিন সঠিক পদ্ধতি

শরীরকে সুস্থ ও সতেজ রাখতে খাওয়াদাওয়ার পাশাপাশি প্রয়োজন রয়েছে শরীরচর্চার। অনেকেই সকালে ঘুম থেকে উঠে শরীরচর্চা করতে পছন্দ করেন। নিয়মিত শরীরচর্চা করলে আমাদের শরীর যেমন অনেকরকম রোগের থেকে রেহাই পায় তেমনই শরীরকে হালকা ও সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। অনেকেই কাজের চাপে জিমে যাওয়ার সুযোগ পান না। তাদের জন্য উপযুক্ত হলো শরীরচর্চা। কোথাও না গিয়েই নিজের বাড়িতেই কিছুক্ষণের জন্য করে ফেলতে পারেন শরীরচর্চা।

শরীরচর্চার একটু গুরুত্বপূর্ণ ব্যায়াম হলো শশঙ্গাসন। শশক কথার অর্থ হলো খরগোশ। খরগোশের মতন ভঙ্গি করে বসতে হয় বলে এটির নাম শশঙ্গাসন। এই ব্যায়ামটি অভ্যাস করলে শরীর যেমন ফিট থাকবে তেমনই মানসিকভাবেও অনেক সতেজ থাকবেন। যারা এই ব্যায়ামটি করবেন তারাই ফল পাবেন৷ তাই ব্যায়ামটি কীভাবে করবেন তার পদ্ধতিগুলি জেনে নেওয়া জরুরী।

আসনটি শুরু করার আগে প্রথমে দু’টি ছোট কুশন রাখুন। এরপর হাঁটু ভাজ করে ম্যাটে বসুন। পায়ের পাতা আরামদায়ক অবস্থায় থাকে সেটি লক্ষ্য রাখুন। এরপর গোড়ালির উপর সোজা হয়ে বসুন। এমন অবস্থায় পিঠ, ঘাড়, মাথা এক সরলরেখায় টানটান থাকবে সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। এরপর হাত দু’টি হাঁটুর উপর রাখুন। চোখ বন্ধ করে আরাম করে বসুন। শশঙ্গাসন শুরুর প্রথম ধাপ। এটির নাম বজ্রাসন।

এরপর শ্বাস নিতে নিতে দুই হাত কানের পাশ দিয়ে যতটস সম্ভব উপরের দিকে তুলুন। এমন অবস্থায় হাতের তালু যাতে সামনের দিকে থাকে সেটি লক্ষ্য রাখুন। এরপর ধীরে ধীরে শ্বাস ছাড়ুন এবং নিতম্ব থেকে সামনের দিকে ঝুঁকে মাটিতে হাঁটুর সামনে মাথা ঠেকাতে হবে। এরপর হাত দু’টি গোড়ালির কাছে নিয়ে যান। অবশেষে এমন অবস্থায় যতক্ষণ পারবেন থাকার চেষ্টা করুন। এই অবস্থায় গোড়ালির উপর চাপ পড়ার ফলে গোড়ালির উপরে ও নীচে কুশন দু’টি রাখলে আরামদায়ক লাগবে।

তবে যাদের মাথা ঘোরা বা ভার্টিগো রয়েছে তারা এই শরীরচর্চাটি করবেন না। এছাড়া যাদের পিঠ, হাঁটুত ব্যথা রয়েছে তারাও এড়িয়ে গেলে ভালো। তবে যাদের এই সমস্যা নেই তারা যদি নিয়মিত শশঙ্গাসন করেন তাহলে পিঠের জড়তা কেটে যাবে। এছাড়া মেরুদণ্ডের প্রতিটি কশেরুকা প্রসারিত হয়। নিয়মিত এই আসন করলে অ্যাড্রিনাল গ্রন্থির নিঃসরণ বাড়ে। এর পাশাপাশি পিঠের স্ট্রেচিং হয় বলে কশেরুকার সঙ্গে সঙ্গে এদের সংযোগকারী ডিস্কগুলিও নিজস্ব সঠিক অবস্থানে ফিরে আসে।