ফলটনের তরুণী চিকিৎসকের আত্মহত্যা মামলায় নাম জড়ানো পুলিশ আধিকারিক গোপাল বদন অবশেষে আত্মসমর্পণ করলেন। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার প্রশান্ত বাঙ্কারও।
ফলটন চিকিৎসক আত্মহত্যা: অবশেষে আত্মসমর্পণ করলেন এএসআই গোপাল বদন
ফলটনের সরকারি হাসপাতালে কর্মরত এক তরুণী চিকিৎসকের আত্মহত্যার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মহারাষ্ট্রজুড়ে। এই মামলায় অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিক এএসআই গোপাল বদন অবশেষে গ্রেফতার হয়েছেন। শনিবার সন্ধ্যায় তিনি ফলটন গ্রামীণ থানায় আত্মসমর্পণ করেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন গোপাল বদন। তাঁকে আগেই সাসপেন্ড করা হয়। এর আগে শনিবার সকালেই আরেক অভিযুক্ত সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার প্রশান্ত বাঙ্কারকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
কীভাবে সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য
গত বৃহস্পতিবার এক হোটেলের রুম থেকে ওই তরুণী চিকিৎসকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মৃত্যুর আগে তিনি বাঁ হাতের তালুতে লিখে যান একটি সুইসাইড নোট, যেখানে দুই ব্যক্তির নাম উল্লেখ করেন— প্রশান্ত বাঙ্কার এবং এএসআই গোপাল বদন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রশান্ত বাঙ্কারের সঙ্গে ওই চিকিৎসকের ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল। কিন্তু গোপাল বদন একাধিকবার তাঁকে যৌন হেনস্তা ও ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ ওঠে। এছাড়াও মানসিক নির্যাতন চালানো হয়েছিল বলেও জানা গিয়েছে।
পরিবারের দাবি: “ফাঁসি চাই দোষীদের”
তরুণীর পরিবারের পক্ষ থেকে দোষীদের কঠোরতম শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে। তাঁর বাবা সরাসরি বলেছেন, “আমার মেয়ের সঙ্গে যা হয়েছে, তার জন্য দোষীদের ফাঁসি দেওয়া হোক।”
মুখ্যমন্ত্রীর কঠোর বার্তা
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ জানিয়েছেন, “এই ঘটনায় কাউকেই ছাড়া হবে না। তদন্তের পর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
সাতারার পুলিশ সুপার তুষার দোশি পিটিআই-কে জানিয়েছেন, আত্মসমর্পণের পর গোপাল বদনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তদন্ত দ্রুতগতিতে চলছে।
সারাংশ:
ফলটনের তরুণী চিকিৎসকের আত্মহত্যা মামলায় দুই অভিযুক্ত— প্রশান্ত বাঙ্কার ও গোপাল বদন— দুজনই গ্রেফতার। রাজ্যজুড়ে এই ঘটনার নিন্দায় সরব সাধারণ মানুষ ও চিকিৎসক মহল।
#FaltanSuicideCase #GopalBadan #MaharashtraNews #DoctorSuicide #BreakingNews #IndianPolice #CrimeNews
