হাসি মানুষের সবচেয়ে সহজ এবং প্রাকৃতিক অভিব্যক্তি। একটুখানি হাসি কোনও মুখের সৌন্দর্য যেমন বাড়িয়ে তোলে, তেমনই মানুষের মনকেও সতেজ করে। কিন্তু জ্যোতিষশাস্ত্র বলছে—সাধারণ হাসির মধ্যেই লুকিয়ে থাকে আমাদের চরিত্রের বহু অজানা দিক। কেউ সদাহাস্য, কেউ ঠোঁট টিপে হাসেন, আবার কারও হাসি অট্টহাসির মত। এই প্রতিটি হাসির ধরনই প্রকাশ করে আলাদা আলাদা স্বভাব, মানসিকতা এবং ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্য।
দাঁত না দেখিয়ে হাসা
যাঁদের হাসির সময় দাঁত দেখা যায় না, জ্যোতিষ মতে তাঁরা অত্যন্ত সরল এবং বিশ্বাসযোগ্য মানুষ। এঁদের মনে বিশেষ জটিলতা থাকে না। সহজ-সরল আচরণের জন্য এঁদের উপর চোখ বন্ধ করে ভরসা করা যায়। ভাগ্যও বেশির ভাগ সময় এঁদের পক্ষে থাকে বলে শাস্ত্রের মত।
চোখ বন্ধ করে হাসা
অনেকেই হাসলে চোখ প্রায় বন্ধ হয়ে আসে। শাস্ত্রমতে, এঁরা অন্তর্মুখী স্বভাবের, সমস্যা নিজের মধ্যেই মেটাতে পছন্দ করেন। অপরের উপর নির্ভর করা বা নিজের কষ্ট ভাগ করে নেওয়া এঁদের ধাতেই নেই। ব্যক্তিগত বিষয় গোপন রাখাই এঁদের স্বভাব।
সদাহাস্য মানুষ
যাঁরা সারাক্ষণ হাসিমুখে থাকেন, পরিচিত-অপরিচিত সবাইকে হাসিমুখে অভিবাদন জানান, তাঁরা নাকি অত্যন্ত পরিশ্রমী। জীবনে উন্নতির পথে এগোবার ক্ষমতা এঁদের মধ্যে প্রবল। কর্মঠ হওয়ার ফলে জীবনে অভাব খুব কমই আসে।
দাঁত বার করে হাসা
যাঁরা মুখ কিছুটা খুলে দাঁত বার করে হাসেন, তাঁদের ধৈর্যশক্তি অসাধারণ বলে মনে করা হয়। সহনশক্তি বেশি থাকার দরুন জীবনে নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এগিয়ে যেতে পারেন। এঁদের সফলতার সম্ভাবনাও বেশ উজ্জ্বল।
অট্টহাসি
যাঁদের জোরে, প্রাণখোলা হাসি চারপাশে আনন্দ ছড়িয়ে দেয়, তাঁদের বলা হয় অত্যন্ত বুদ্ধিমান। পরিস্থিতি বুঝে নিজেকে বদলে নিতে পারদর্শী এঁরা। নিজের নিয়মে চলতে ভালোবাসেন, অপরের নির্দেশে জীবন চালাতে পছন্দ করেন না।
আরও পড়ুন
তিন নক্ষত্রের জাতিকারা কেন হন স্বভাবেই লক্ষ্মীমন্ত
মানুষের হাসি দেখেই যদি তার চরিত্রের এতটা ইঙ্গিত পাওয়া যায়, তবে হাসি শুধু আনন্দের প্রতীক নয়—এ এক বিশেষ মানসিক স্বাক্ষরও বটে। জ্যোতিষশাস্ত্র সেই স্বাক্ষরকেই পাঠোদ্ধার করার চেষ্টা করে।
আরও পড়ুন
উৎসব-পরবর্তী ত্বক ক্লান্ত? সঠিক যত্নে ফিরে পান আগের জেল্লা