আমাদের ব্যস্ত জীবনে সাংসারিক কাজকে আরও সহজ করার জন্য বৈদ্যুতিক জিনিস কিনে থাকি। তার মধ্যে একটি হলো ওয়াশিং মেশিন। যাতে খুব কম সময়ের মধ্যে বিনা পরিশ্রমে জামাকাপড় পরিস্কার করা যায়। ওয়াশিং মেশিনে জামাকাপড়, বিছানার চাদর, ঘরের পর্দা সহ সবকিছুই পরিস্কার করার জন্য ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এই ওয়াশিং মেশিনকে সঠিক উপায়ে ব্যবহার ও তার দেখভাল না করলে আপনার জীবনে হতে পারে বড় বিপদ।
ওয়াশিং মেশিনের মধ্যে থাকে ডিসপেনসর ড্রয়ার। তাতে সাবান রাখা হয়। ওয়াশিং মেশিনে কিছু পরিস্কার করার জন্য দিলে সেই নির্দিষ্ট স্থানে সাবান পড়ে এবং জামাকাপড় বা যা দেওয়া হয় সবকিছু পরিস্কার হয়। কিন্তু ওই বিশেষ সাবানের জায়গাটি যদি নিয়মিত পরিস্কার করা না হয় সেখানে নানানরকম জীবাণু লেগে থাকে। আর তা থেকে ছড়াতে পারে রোগ।
ই কোলাই সংক্রমণ – দূষিত জলে কোলাই জন্মায়। ওয়াশিং মেশিনে থাকা নোংরা জল যা একবার শরীরে প্রবেশ করলে মারাত্মক ডায়েরিয়া হতে পারে। এই ব্যক্টেরিয়া মূত্রনালীতে চলে গেলে মূত্রনালীতে সংক্রমণ হতে পারে। এর ফলে জ্বর, তলপেটে ব্যথা, বারংবার প্রস্রাব, প্রস্রাবের সময় জ্বালা সহ একাধিক সমস্যা হয়।
স্ট্যাফাইলোকক্কাসের সংক্রমণ – এই ব্যক্টেরিয়া ভিজে ও স্যাঁতস্যাঁতে জায়গায় জন্মায়। এই জীবাণু ত্বকে সংক্রমণ ঘটায়। ত্বকে র্যাশ, ফুসকুড়ি সহ নানান সমস্যা দেখা দেয়। এর পাশাপাশি স্কিন কেরাটোসিস, একজ়িমা, কনট্যান্ট ডার্মাটাইটিসের মতন রোগ ত্বকে দেখা দিতে পারে।
ছত্রাক সংক্রমণ – ওয়াশিং মেশিন নিয়মিত পরিস্কার না করা হলে তার মধ্যে জমতে পারে ক্যান্ডিডা এবং মোল্ডের মতো ছত্রাক। এই জীবাণুগুলি ত্বকের সংক্রমণের পাশাপাশি শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যা সৃষ্টি করে। তাই নিয়মিত ওয়াশিং মেশিন পরিস্কার করা দরকার। মেশিনের ভিতরটি ভিনিগার দিয়ে পরিস্কার করুন। তারপর বেকিং সোডা দিয়ে মেশিন চালিয়ে দিন।