জন্মেছিলেন রাজ পরিবারে অথচ সেই বিলাসবহুল জীবনযাপন ত্যাগ করে যোগ দেন প্রশাসনিক সেবায়। আর বর্তমানে তিনি পরিচিত ‘ভারতের চিতাম্যান’ হিসেবে। কী অবাক হচ্ছেন তো? ভাবছেন কার সম্পর্কে আলোচনা করা হচ্ছে? আসলে আজ আমরা কথা বলছি ড. এম.কে. রঞ্জিত সিংহ ঝালার সম্পর্কে। যিনি জন্মেছিলেন গুজরাটের ওয়াঙ্কানের রাজবংশে।
তবে সেসব সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য ছেড়ে তিনি প্রশাসনিক সেবায় যোগদান করেন। ১৯৬১ সালের এই আইএএস অফিসার মধ্যপ্রদেশের আমলা ছিলেন। ছোট থেকেই বন্যপ্রাণীর প্রতি ছিল তার অগাধ ভালোবাসা। তাইতো প্রশাসনিক পদে থাকাকালীন তিনি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে বিশেষ জোর দেন। এমনকি আপনি জানলে অবাক হবেন তার চেষ্টাতেই ১৯৭২ সালের বন্যপ্রাণী সুরক্ষা আইন তৈরি হয়েছিল।
আরও পড়ুন,
*কান্নাকাটির পুরোটাই অভিনয়! নিজের বিয়েতে বাবার ‘মজাদার তথ্য’ ফাঁস করেছেন করলেন আমির-কন্যা
*বাইরে বৃষ্টি পড়ছিল, ছাদ থেকে পড়ছে জল, পোশাক নেই, হৃত্বিকের অবস্থা দেখে ডাব্বু বাধ্য হয়েছিল এই কাজ করতে
রাজ্যগুলিতে জাতীয় উদ্যান এবং অভয়ারণ্য নির্মাণের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। পরবর্তী সময়ে ব্যাঘ্র সংরক্ষণ দলের সচিব ছিলেন তিনি। এছাড়া ১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত UNEP’এর ব্যাংকক আঞ্চলিক অফিসে প্রকৃতি সংরক্ষণ উপদেষ্টার ভূমিকা পালন করেন।
দেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক স্তরেও বিশেষ দায়িত্ব পালন করেছেন। এরপর ভারতে ফিরে তিনি ১১টি অভয়ারণ্য এবং ৮টি জাতীয় উদ্যান পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন। তবে এবার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে কী কারণে ড. রঞ্জিত সিংহ ঝালা ‘চিতা ম্যান’ হিসেবে পরিচিত?
আসলে তিনি অন্যান্য বিলুপ্ত প্রাণীর পাশাপাশি চিতা ফিরিয়ে আনার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। আমরা সকলেই জানি ২০০৯ সালে ভারতে ‘আফ্রিকান চিতা পরিচিতি’ প্রকল্প শুরু হয়। এরপর ২০২০ সালে সেটির আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়। সেই দলেরই নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। ভারতে চিতা ফিরিয়ে আনায় অবদান রাখার জন্য তাকে ‘ভারতের চিতা ম্যান’ বলা হয়।
আরও পড়ুন,
*রামরামপাড়ার সব পুরুষের নামেই ‘রাম’-এর ছোঁয়া, বাঁকুড়ার ‘রামময়’ গ্রাম সাজছে অযোধ্যা ধামের জন্য রাম
*Ram Mondir Ajodha: সেজে উঠেছে অযোধ্যা ধাম, উচ্ছেদের ধার না ধারলেও রাম-আলোর আড়ালে ‘মা’ কৌশল্যাদের চোখের জলও