শোনা যায় তিনি তার দৃষ্টি শক্তি হারিয়েছিলেন বজ্রপাতের ফলে। এরপর চোখে শুধুই অন্ধকার। গোটা পৃথিবী তার কাছে নিকশ কালো অন্ধকারের মতন হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু অন্ধ হয়েও তার আরেকটি দিক প্রবল সক্রিয় হয়ে ওঠে। আর সেটি হল ভবিষ্যত দেখার ক্ষমতা। দৃষ্টি শক্তি না থাকলেও তিনি দুর্দান্ত ভবিষ্যত দেখতে পারতেন।
আর তাই তার মৃত্যুর আগে করে যাওয়া ভবিষ্যদ্বাণী মিলে গিয়েছে হুবহু। তিনি হলেন বুলগেরিয়ার পৃথিবীখ্যাত মহিলা বাবা ভাঙ্গা। তাকে বর্তমান সময়ের নস্ত্রাদামুস বলা হয়। বাবা ভাঙ্গার মৃত্যু হয় ১৯৯৬ সালে। মৃত্যুর আগে তিনি পৃথিবীকে নিয়ে কয়েকটি ভবিষ্যদ্বাণী করে গিয়েছিলেন যা হুবহু মিলে গিয়েছে।
চিকিৎসায় বিপ্লব – তিনি জানিয়েছিলেন একদিন চিকিৎসায় বিপ্লব আসবে। বর্তমানে চিকিৎসা বিজ্ঞান অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। আর তার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে সমাজে। এই সময়ে ক্যানসার ও অ্যালঝাইমার্সের মতো অসুখের ওষুধ আবিষ্কৃত হবে, এমনটাও জানিয়ে গিয়েছিলেন বাবা ভাঙ্গা।
সন্ত্রাসবাদের উত্থান – তিনি জানিয়েছিলেন ভারত জঙ্গিহানার মুখে পড়বে। আর তারপর আমরা দেখেছি নভেম্বরের ৯ ও নভেম্বরের ২৬ তারিখ আমেরিকা ও মুম্বাই বারবার সন্ত্রাসবাদীদের চক্রান্তের শিকার হয়েছে। এর পাশাপাশি ইউরোপেও জঙ্গিদের হানা হয়েছে।।
সাইবার যুদ্ধ – বাবা ভাঙ্গা জানিয়েছিলেন একদিন ইন্টারনেট যুদ্ধ হবে। বর্তমানে আমরা তাই দেখতে পাই। বর্তমানে দাঁড়িয়ে বিশ্বের প্রথম সারির টেক সংস্থাগুলি যেমন ম্যাক, অ্যাপলের মধ্যে কে বেশি এগিয়ে তা নিয়ে যুদ্ধ চলে রীতিমতো। তার পাশাপাশি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স-এর রমরমা বেড়ে চলেছে। হ্যাকাররা সমস্ত তথ্য চুরি করছে।
জলবায়ু পরিবর্তন – বাবা ভাঙ্গার ভবিষ্যদ্বাণীতে ছিল পৃথিবীর জলবায়ু পরিবর্তনের সতর্কতা। তিনি জানিয়েছিলেন বিশ্বের অত্যধিক দূষণের জন্য একদিন মানুষকে শাস্তি পেতে হবে। আর বর্তমানে গোটা বিশ্ব জুড়ে গরম রীতিমতো বেড়েই চলেছে। যার ফলে অসহনীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
এহেন বাবা ভাঙ্গার যাবতীয় ভবিষ্যদ্বাণী কিন্তু শেষ হয়েছে ৫০৭৯ সালে এসে। আর মনে করা হচ্ছে, এর পর আর পৃথিবীর অস্তিত্ব থাকবে না। এক কথায় ধ্বংস হয়ে যাবে এই নীল গ্রহ। তবে সেই দাবি সত্যি হবে কিনা, তার উত্তর এখনকার মানুষের জানা সম্ভাব নয়।
আরও পড়ুন,
*কল্যাণ ব্যানার্জীর সাথে উত্তরপাড়ায় জেনোসংযোগ যাত্রায় মল্লিক মল্লিক
*‘রুহ্ বাবা’কে দেখতে ভিড় হাওড়া ব্রিজে, কলকাতার কোথায় কোথায় শুটিং করলেন কার্তিক?