সামুদ্রিক পাখির মধ্যে সবথেকে বড় পাখি হল অ্যালবাট্রস। এই পাখিদের দেখতে পাওয়া যায় মূলত শীতকালীন অঞ্চলে। আন্টার্কটিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, প্রশান্ত মহাসাগরের আশেপাশে এই পাখিদের দেখতে পাওয়া যায়। পাখিদের মধ্যে সবথেকে দক্ষ ভ্রমণকারী অ্যালবাট্রস। এই পাখি একটানা বহুদূর পাড়ি দিতে পারে।
তবে এই পাখির রয়েছে নিজস্ব জীবন। এই পাখিরা স্কুইড, মাছ, কাঁকড়া সহ জলজ প্রাণীদের খেয়ে বেঁচে থাকে। জীবনের বেশিরভাগ সময় পাখিগুলি উড়ে থাকে। তবে প্রজননের সময় নীচে নেমে আসে। এই পাখির ডানার আয়তন ১২ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়।
অ্যালবাট্রোজ পাখি তার একটি সঙ্গীর সঙ্গে দীর্ঘদিন কাটিয়ে দেয়। মানুষের মতন দীর্ঘদিন একজন সঙ্গীকে নিয়ে এরা সুখে থাকে। তবে বর্তমানে এই পাখিদের মধ্যে বিচ্ছেদের পরিমাণ বেড়েছে। মানুষের মতন কি পাখিও সঙ্গীর সঙ্গে বিচ্ছেদ করে। বর এই বিচ্ছেদের কারণ হিসেবে বলা হয়েছে জলবায়ুর পরিবর্তন।
জলবায়ুর পরিবর্তনের জন্য এই পাখিরা আলাদা হয়ে যাচ্ছে। সঙ্গীর সঙ্গে বিচ্ছেদ করে অপর কোনো জলবায়ু অঞ্চলে জায়গা করছে যে আবহাওয়া তাদের পক্ষে অনুকূল। এই পাখিদের জোড়ায় দেখতে পাওয়া যায়। তবে বিচ্ছেদ হলে তারা নিজেদের সঙ্গীও খুঁজে নেয়। পুরুষ পাখি ও নারী পাখি নিজেদের পছন্দসই সঙ্গী খুঁজে নেয়।
তবে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, অ্যালবাট্রস পাখি প্রজননে ব্যর্থ হলে নতুন সঙ্গী খোঁজে। গত কয়েক বছরে তাদের বিচ্ছেদের সংখ্যা বেড়েছে অনেকটাই। এর পাশাপাশি জলবায়ুর পরিবর্তন ও জলের তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য পাখিগুলি তাদের আস্তানার পরিবর্তন করছে। লক্ষ্য করা গিয়েছে ব্রিডিং সিজনের আগে অ্যালবাট্রস ফিরতে না পারে তখন সেই সঙ্গী আরেক সঙ্গী খুঁজে নেয়।
আরও পড়ুন,
*৩ হাজার বছর পর ধ্বংস হবে পৃথিবী, ভবিষ্যদ্বাণী বাবা ভাঙ্গার
*কল্যাণ ব্যানার্জীর সাথে উত্তরপাড়ায় জেনোসংযোগ যাত্রায় মল্লিক মল্লিক