অমিতাভ বচ্চনের জনপ্রিয় কুইজ শো কৌন বনেগা ক্রোড়পতি (KBC)-তে উপস্থিত হয়েছিল মাত্র ১০ বছরের এক প্রতিযোগী, ঈশিত ভট্ট। অনুষ্ঠানে তার মজাদার কথাবার্তা ও আচরণে প্রথমে হাসি পেলেও, পরবর্তীতে নেটদুনিয়ায় চর্চার কেন্দ্রে আসে এই ছোট্ট বালক। অমিতাভের সঙ্গে তার কথাবার্তা অনেকেই ‘উদ্ধত’ বলে দাবি করেন। সামাজিক মাধ্যমে শুরু হয় কটাক্ষ, ট্রোলিং— এমনকি ঈশিতের বাবা-মাকেও নিশানা করেন অনেকে।
তবে এবার ঈশিতের পাশে দাঁড়ালেন সমাজকর্মী ও বিশেষজ্ঞরা। চণ্ডীগড়ের সমাজকর্মী ও উদ্যোগপতি শেখর দত্ত দাবি করেছেন, ঈশিত আসলে ‘সিক্স পকেট সিনড্রোম’-এ ভুগছে। তাঁর কথায়, “এটি এক ধরনের সামাজিক সমস্যা, যা প্রথম চিনে দেখা গিয়েছিল এবং এখন ভারতে দ্রুত ছড়াচ্ছে।”
শেখর ব্যাখ্যা করেন, “আজকাল অধিকাংশ পরিবারে একটি মাত্র সন্তান হয়। ফলে বাবা-মা, দাদু-দিদিমা, ঠাকুরদা-ঠাকুমা— মোট ছয় জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের সমস্ত মনোযোগ ও ভালোবাসা কেন্দ্রীভূত থাকে ওই এক শিশুর উপরে। এই অতিরিক্ত আদর, প্রশ্রয় ও মনোযোগ থেকেই শিশুরা অনেক সময় আত্মকেন্দ্রিক ও আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে, যা বাইরে থেকে উদ্ধত মনে হতে পারে। এটিই ‘সিক্স পকেট সিনড্রোম’।’’
বিনোদন
‘মহাভারত’ কখনও পড়েননি ‘কর্ণ’ চরিত্র খ্যাত পঙ্কজ ধীর : ‘ভীষ্ম’ মুকেশ খন্না
শেখরের মতে, ঈশিতের আচরণও সেই কারণেই এমন হয়েছে। তিনি অনুরোধ করেছেন, যেন নেটাগরিকেরা ১০ বছরের এক শিশুকে ট্রোল করা বন্ধ করেন।
শিশু অধিকার নিয়ে কাজ করা একাধিক সমাজকর্মীও তাঁর সঙ্গে একমত। তাঁদের মতে, “ঈশিত এখনও বালক, তার মানসিক পরিপক্কতা হয়নি। ওর আচরণকে বিদ্রূপ করে বা কটাক্ষ করে মন্তব্য করা ওর মানসিক স্বাস্থ্যের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে।”
বিনোদন
Koel: নিজের পোশাক রেখে দিদি ও বৌদিদের পোশাক পরেন কোয়েল! জানালেন অজানা তথ্য
তাঁরা আরও জানিয়েছেন, সমাজমাধ্যমে যাঁরা প্রকাশ্যে এক শিশুকে আক্রমণ করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
এক সমাজকর্মী পোস্টে লিখেছেন, “একটি শিশুর ভুল বা অপরিপক্ক আচরণের জন্য তাকে অপমান করা নয়, বরং তাকে বোঝানোই সমাজের দায়িত্ব।”
নেটমাধ্যমে এখন এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে— ঈশিত সত্যিই উদ্ধত, না কি ‘সিক্স পকেট সিনড্রোম’-এর শিকার এক নির্দোষ শিশু?