রাখির ভারে নাড়াতে পারছেন না হাত, বোনেদের ভালোবাসায় আপ্লুত খান স্যার, ভাইরাল ভিডিও

কখনও কখনও কোনো শিক্ষক জীবনে এতটা প্রভাব ফেলে যার ফলে ছাত্রছাত্রীরা তাকে একজন শিক্ষকের তুলনায় আপনজন হিসেবে ভাবতে শুরু করে। তেমনই ভারতে এমন অনেক শিক্ষক রয়েছেন যাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা তার ছাত্রছাত্রীদের ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। তেমনই একজন হলেন খান স্যার। তাকে তার ছাত্রছাত্রীরা শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় ভরিয়ে দেন। তেমনই খান স্যারও তাদের ফেরান না। বিহারের পাটনার জনপ্রিয় খান স্যার যিনি একাধারে একজন শিক্ষক ও ইউটিউবার।

গত ৯ই আগস্ট ছিল রাখিপূর্ণিমা। এই বিশেষ দিনে দাদাদের বোনেরা রাখি পরিয়ে তাদের বন্ধনকে আরও দৃঢ় করে তোলে। আর সেই বন্ধনকে দৃঢ় করতে দাদার হাতে বোন বেঁধে দেন রাখি। প্রতিবছর খান স্যারও এমন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। তেমনই গত ৯ই আগস্ট খান স্যার একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। সেখানে তার হাতে রাখি বেঁধে দেন তার ছাত্রীরা। সকাল ১০টায় শুরু হয় রাখি পরানোর অনুষ্ঠান। চলে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত।

ততক্ষণে খান স্যারের হাতের অবস্থা একেবারে বেহাল। ১৫ হাজার রাখি পরানোর ফলে তিনি আর তার হাত তুলতে পারছেন না। তার কব্জিতে তৈরি হয়েছে ছোটোখাটো একটি পাহাড়। ভালোবাসার বাঁধনে খান স্যারের হাত অসাড় হয়ে গিয়েছে। সমাজ মাধ্যমে সেই ভিডিও ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। যেখানে খান স্যারকে দেখা গিয়েছে ঘিয়ে রঙের শেরওয়ানি পরে বসে থাকতে।

তার গলায় ওড়না ও মুক্তোর মালা। সেখানে একটি শোফায় বসে রয়েছেন খান স্যার এবং তার হাতে একের পর এক ছাত্রী এসে রাখি পরিয়ে দিচ্ছেন। পটনার কৃষ্ণ মেমোরিয়াল হলে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। হাজার হাজার ছাত্রীর উত্তেজনা চোখে পড়ার মতন। তবে খান স্যার তার ছাত্রীদের ফেরাননি। ১৫৬ রকম পদ রান্না করে তাদের খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। খান স্যারের নিজের কোনও বোন নেই। কিন্তু তার ছাত্রীদের সকলকে তিনি বোন ভাবেন।

ভাইরাল ভিডিওতে খান স্যারকে বলতে শোনা যায়, “আজ, আমার কব্জিতে বাঁধা রাখির সংখ্যা ১৫ হাজারেরও বেশি। এই রাখিগুলি এত ভারী যে আমি হাত তুলতেও পারছি না। আজকের যুগে এমন অভিজ্ঞতা পেয়ে আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি। আমি কী ভাবে উঠে দাঁড়াব বুঝতে পারছি না।” তাকে রসিকতা করে বলতে শোনা যায়, “হাতে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, কেউ চিকিৎসককে খবর দাও।” সকলের ভালেবাসায় আপ্লুত খান স্যার। ইতিমধ্যে তার ভিডিওটি ২৪ ঘটায় ৮০ লক্ষেরও বেশি মানুষ দেখে ফেলেছেন।

error: Content is protected !!