তিনি কোনো সাধারণ মহিলা নন, শুভশ্রী গাঙ্গুলী হলেন ‘অনন্যা! এমনটাই জানালেন পরিচালক কৌশিক গাঙ্গুলী। একটি সাক্ষাৎকারে তাকে জিজ্ঞেস করা হয় এখনকার শুভশ্রী এবং ‘ধুমকেতু’ শুভশ্রীর মধ্যে কতটা পার্থক্য রয়েছে? তখন পরিচালক বলেন, ‘ভীষণই বুদ্ধিমতী একজন অভিনেত্রী হলেন শুভশ্রী। তিনি জানেন বাঁ পায়ে কতটা ভার দিতে হবে এবং ডান পায়ে কতটা। শুভশ্রী নিজের রাস্তাটা খুব ভালোভাবে তৈরি করে নিয়েছে।’
‘কোন সিনেমায় কতটা দিতে হবে, সে খুব ভালোমতোই জানে। সে সকলের অজান্তে নিজেকে তৈরি করে নিয়েছে। কারণ আমি মনে করি কমার্শিয়াল সিনেমায় শুভশ্রী একরকম এবং ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্তের গৃহপ্রবেশে সে অন্যরকম। সে বলেছে তার কোনো আকার নেই। তাকে যে পাত্রে রাখবে সে সেরকম।’
তিনি নাকি সবসময় ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পনা নেন। তার রোগা হতে অসুবিধা নেই, মোটা হতেও অসুবিধা নেই। কৌশিক আরো জানান তিনি শ্রদ্ধা জানান নারীর পরিপূর্ণতাকে। কারণ, শুভশ্রী দুই সন্তানকে কোলে নিয়ে মাথা উঁচু করে এগিয়ে চলেছেন। আসলেও তাই মাতৃত্বকে কখনোই বাধা হিসেবে দেখেনি শুভশ্রী।
একদিকে যেমন তিনি সংসার করছেন অন্যদিকে কর্মক্ষেত্রও সামলেছেন সুন্দরভাবে। সন্তান জন্ম দেওয়ার পর খুব বেশি দিনের বিরতি নেননি বরং ফিরে এসেছেন কর্মক্ষেত্রে। তবে কর্মক্ষেত্রেও আবার খুব বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েননি ছেলে, মেয়ে, স্বামীর জন্য যথেষ্ট সময় রেখেছেন।
সবমিলিয়ে বলতে গেলে তিনি যেন দশ হাতে সবদিক সামলে নিয়েছেন। উল্লেখযোগ্য, আগামী ১৩ই জন মুক্তি পেতে চলেছে ‘গৃহপ্রবেশ’। যেখানে এক অন্য ধরনের চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাবে তাকে। অতীত জীবন কীভাবে তার ভবিষ্যতকে প্রভাবিত করে সেই নিয়েই এগোবে কাহিনী।