অভিনয়, নাচ এবং কোরিওগ্রাফির জগতে সমান দক্ষতায় নিজের অবস্থান তৈরি করেছেন বর্ষীয়ান শিল্পী মমতা শঙ্কর। খ্যাতির শীর্ষে থেকেও তাঁকে বিভিন্ন সময় নানা বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। তবুও নিজের মতামত প্রকাশে তিনি কখনও পিছপা নন। এবার ‘মি টু’ প্রসঙ্গে মুখ খুলে ফের আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এলেন এই পদ্মশ্রী প্রাপ্ত শিল্পী।
সম্প্রতি এক বাংলা সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকারে মমতা শঙ্কর বিনোদন জগতের অভ্যন্তরীণ বাস্তবতা নিয়ে খোলামেলা মত প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, অনেক সময় কাজের সুযোগ পাওয়ার জন্য মেয়েরাই নিজেরাই আপস করেন। পরে যখন প্রত্যাশা পূরণ হয় না, তখন বিষয়টি ‘মি টু’ অভিযোগে পরিণত হয়। তাঁর কথায়, “একজন নারী নিজের সম্মান নিজেই অর্জন করতে পারেন, আবার নিজের কাজের দ্বারা তা হারাতেও পারেন। শুধু পুরুষরা নন, অনৈতিক কাজে অনেক সময় মহিলারাও যুক্ত থাকেন।”
মমতা স্পষ্টভাবে জানান, শারীরিক হেনস্থার ঘটনা অবশ্যই আলাদা এবং তা গুরুতর; কিন্তু নিজে থেকে কোনও আপস বা প্রস্তাব গ্রহণ করা এবং পরবর্তীতে অভিযোগ আনা—দুটি বিষয়কে একসঙ্গে দেখলে চলবে না। তাঁর মতে, “নিজের বুদ্ধিমত্তা ও সতর্কতার সাহায্যে অনেক জটিল পরিস্থিতি এড়িয়ে চলা যায়।”
নিজের দীর্ঘ শিল্পীজীবনে কোনও কুপ্রস্তাব বা অশালীন মন্তব্যের মুখে পড়তে হয়নি বলেও জানান তিনি। শৈশব থেকে নাচ এবং শিল্পের সঙ্গে যুক্ত থাকা মমতার দাবি, “যখনই কোনও আচরণ ভালো না লেগেছে, তখন থেকেই দূরত্ব বজায় রেখেছি। ফলে কখনও এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।”
আগেও শাড়ির আঁচল প্রসঙ্গ, স্যানিটারি ন্যাপকিন নিয়ে বক্তব্য—এসবেই বিতর্কে জড়িয়েছেন মমতা শঙ্কর। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে কটাক্ষও সহ্য করতে হয়েছে। কিন্তু সমালোচনার পরও নিজের মত স্পষ্টভাবে বলতে তিনি আগ্রহী। এবারও ‘মি টু’ নিয়ে তাঁর মন্তব্য নতুন করে আলোচনার ঝড় তুলেছে।
মমতা শঙ্করের এই বক্তব্য আবারও ইন্ডাস্ট্রি, নারী নিরাপত্তা এবং সুযোগ–সুবিধা নিয়ে প্রচলিত ধারণাকে কেন্দ্র করে আলোচনা উসকে দেবে বলেই মনে করছেন অনেকে।
আরও পড়ুন
Subhasree: ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে’ সিনেমার প্রমোশনে নটী বিনোদিনী সাজে হাজির শুভশ্রী
