ইতিমধ্যে মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশের ৮০ শতাংশ জায়গা দখল করে ফেলেছে আরাকান আর্মি। বিগত এক সপ্তাহের মধ্যে মংডু, বুথিডং, পালেতাওয়ার শহরগুলিকেও তারা নিজেদের দখলে নিয়েছে। আর এরফলে উদ্বেগ বাড়ছে বাংলাদেশের সরকারের। সেখানকার কয়েক লক্ষ রোহিঙ্গা মুসলিমদের ভবিষ্যতে কী হবে এবং তারা কোথায় আশ্রয় নেবে তা নিয়ে চিন্তিত বাংলাদেশ সরকার।
বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার টেকনাফ থেকে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ফেরি চলাচল বন্ধ রেখেছে। আর এরফলে সমস্যায় পড়েছে বাংলাদেশের চট্টগ্রামের বাসিন্দারা৷ বাংলাদেশের রোহিঙ্গা সংক্রান্ত বিশেষ প্রতিনিধি খলিলুর রহমান জানিয়েছেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ঢাকার তরফে আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগ চালানো হচ্ছে। তার কথায়, বাংলাদেশ মায়ানমার সীমান্ত এখন আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে।
তবে আরাকান আর্মির সঙ্গে মায়ানমারের শাসক সামরিক জুন্টা বাহিনীর লড়াইয়ের পর শেষমেশ ফলাফল কী হবে তা যদিও অস্পষ্ট রয়েছে। তবে সীমন্তে রোহিঙ্গা মুসলিমরা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জন্য যথেষ্ট চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে তা স্পষ্ট। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের তরফে বারংবার চেষ্টা করা হচ্ছে আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগ করার।
এর আগে ২০১৭ সালে রোহিঙ্গারা মায়ানমারে গোষ্ঠী হিংসা শুরু হওয়ার পর সাত লক্ষেরও বেশি অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। যাদের মধ্যে অধিকাংশ রাখাইন প্রদেশের বাসিন্দা। কিন্তু হাসিনা সরকারের আমলে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর চুক্তি হলেও তা মায়ানমারের জুন্টা সরকার তা ভালোভাবে নেয়নি।
এরই মাঝে ফের যদি বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ ঘটে তবে তা বাংলাদেশের অর্থনীতির উপর বিরাট চাপ ফেলবে তা নিসন্দেহে বলা যায়।