তমলুকে চিকিৎসকের রহস্যমৃত্যু: গ্যাস–অ্যাসিডিটি নাকি দুর্ঘটনা, তদন্তে জটিলতা

তমলুক: শুক্রবার সকালে তমলুকের একটি ভাড়া বাড়িতে স্নান করার পর আচমকাই মৃত্যুবরণ করলেন ৩১ বছর বয়সী চিকিৎসক শালিনী দাস। তিনি বাড়িতে নিজের মায়ের সঙ্গে থাকতেন। পুলিশি সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার প্রাথমিক তথ্যগুলো রহস্য আরও জটিল করে তুলেছে।

শালিনী দাস তিন মাস আগে কাঁথি সাব ডিভিশন হাসপাতালে যোগদান করেছিলেন। এর আগে তিনি তমলুক হাসপাতালসহ বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিং হোমে রোগীদের অ্যানেস্থেশিয়া করিয়েছেন। শুক্রবার সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে প্রথমে মহিষাদলের একটি নার্সিং হোমে যান তিনি। এরপর সকাল ৯.৪৫ মিনিট নাগাদ তমলুকের আরেকটি বেসরকারি নার্সিং হোমে একটি অস্ত্রোপচারের সময় অ্যানেস্থেশিয়া করান।

খবর
দার্জিলিং থেকে শিলিগুড়ি নামার পথে গাড়ি খাদে, মৃত ২, আহত ৩

অপারেশন থিয়েটারে উপস্থিত ছিলেন মধুসূদন সাহু নামে একজন চিকিৎসক। তিনি পুলিশের সঙ্গে কথা বলার সময় জানিয়েছেন, অস্ত্রোপচারের সময় শালিনী জানান তাঁর গ্যাস ও অ্যাসিডিটির সমস্যা রয়েছে। ওষুধ খেয়েও উপশম না হওয়ায় চিকিৎসক পরামর্শ দেন হাতে চ্যানেল করে ইঞ্জেকশন দেওয়ার। ওই নার্সিং হোমেই শালিনীকে চ্যানেল করে ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়।

খবর
দার্জিলিং থেকে শিলিগুড়ি নামার পথে গাড়ি খাদে, মৃত ২, আহত ৩

দুপুরে বেলা পৌনে বারোটা নাগাদ বাড়ি ফেরার পর শালিনী স্নানে যান। স্নান শেষে বেরনোর সময় আচমকাই চাতালে পড়ে যান তিনি। তাঁর মা এবং প্রতিবেশীদের চিৎকারে তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রথমে একটি বেসরকারি হাসপাতালে, পরে তমলুক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়, যেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, স্নান করার সময় ডান হাতের চ্যানেল খুলে রক্তক্ষরণ শুরু হয়েছিল, যা শালিনীকে চমকে দেয় এবং অসুস্থ করে তোলে। তবে গ্যাস এবং অ্যাসিডিটির সমস্যা মৃত্যুর কারণের সম্ভাবনাকেও উড়িয়ে দেওয়া যায়নি।

পুলিশ এই রহস্যমৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় আছে। আপাতত শালিনী দাসের মৃত্যু বিষয়টি চিকিৎসা মহলে ও স্থানীয় মানুষদের মধ্যে শোক ও জল্পনার সৃষ্টি করেছে।

error: Content is protected !!