পুরীর জগন্নাথ ধাম যা গোটা দেশের চারটি ধামের মধ্যে অন্যতম ও উল্লেখযোগ্য একটি ধাম। পুরীর মন্দিরে দেশ ও বিদেশ থেকে বহু ভক্ত এই মন্দিরে আসেন। কিন্তু সম্প্রতি এই মন্দিরের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষের বিশ্বাস ও ভরসা যেনো খানিক ধাক্কা খেলো। এই মন্দিরের মহাপ্রসাদের আশায় থাকেন বহু মানুষ। অনেকেই নীলাচলে গিয়ে জগন্নাথদেবের মহাপ্রসাদ প্রাপ্তিকে পরম সৌভাগ্যের বলে মনে করেন। কিন্তু সম্প্রতি এই মহাপ্রসাদকে কেন্দ্র করে নতুন করে অভিযোগ উঠেছে পুরীতে।
সম্প্রতি ওড়িশা টিভি ইনে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। আর সেখানেই অভিযোগ উঠেছে পুরীর জগন্নাথ ধামের মহাপ্রসাদ ভেজাল বিক্রি করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি কম ওজনের খাজাকে মহাপ্রসাদ বলে চালানোর অভিযোগ উঠেছে পুরীর মন্দির সংলগ্ন কিছু দোকানের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ওইসব বিক্রেতারা খাজাকে মহাপ্রসাদ হিসেবে বিক্রি করছেন যা গ্রহনযোগ্য নয়। এই অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের শাস্তির দাবি তুলেছেন অনেকেই।
ওই সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, এই প্রতারণামূলক ব্যবসা যা ভক্ত ও মন্দিরে আসা মানুষদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। এই প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি বেরহামপুরের একদল তীর্থযাত্রী জগন্নাথ ধামে আসেন। ফেরার পথে মন্দিরের কাছে একটি দোকান থেকে খাজা কেনেন। পুরীর জগন্নাথ ধামের খাজা কেনার পর তারা বুঝতে পারেন তারা প্রতারিত হয়েছেন। তারা অভিযোগ করেন, ২০ কেজি খাজা কিনলেও তাদের ১২ কেজি খাজা দিয়ে ২০ কেজি খাজার দাম নেওয়া হয়েছে।
এক মিষ্টির দোকানে গিয়ে তারা এই খাজা ওজন করার পর বুঝতে পারেন তারা ঠকে গিয়েছেন। এরপর তারা খাজার দোকানে গিয়ে তাদের অভিযোগ জানালে দোকানের বিক্রেতা স্থানীয় দুর্বৃত্তদের সাহায্য নিয়ে ভয় দেখায়, হুমকি দেয় ও গালিগালাজ করে। এর পাশাপাশি মন্দিরের বাইরে জগন্নাথ ধামের মহাপ্রসাদ হিসেবে বিক্রি করা হচ্ছে খাজা যা প্রতি কেজিতে ২০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা অতিরিক্ত দাম আদায় করা হয়।
জানা যাচ্ছে, বিক্রি হওয়া খাজা অত্যন্ত নিম্নমানের ও অস্বাস্থ্যকর। এই ঘটনা মন্দিরের ভক্তদের অনুভূতিতে আঘাত হানছে। মন্দির সংলগ্ন দোকান ও ঠেলাগাড়িতে দেদার প্রতারণামূলক ব্যবসা চালানো হচ্ছে। মহাপ্রসাদের প্রতি এহেন অবিচারের পর অনেকেই বলছেন পুরীর জগন্নাথ ধামের মহাপ্রসাদকে জিআই ট্যাগ দিয়ে মান বজায় রাখা উচিত। প্রতারিত ভক্তরা এই বিষয় নিয়ে সিংহদ্বার থানায় অভিযোগ করেন। এরপর পুলিশ এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।