ধর্ষণ ‘মহাপাপ’, মুক্তি নেই মৃত্যুর পরেও, পুরাণে রয়েছে কঠিন শাস্তির বিধান

সম্প্রতি আরজি কর হাসপাতালে এক মহিলা ডাক্তারকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে, এই নিকৃষ্ট ঘটনার জন্য চারিদিকে প্রায় প্রতিদিনই প্রতিবাদ মিছিল চলছে। এরই মধ্যে আবার মহারাষ্ট্রের একটি স্কুলে দুটি ছোট শিশু কন্যার ধর্ষণের কথা জানা যায়, এক্ষেত্রে আদালত ধর্ষণকারীদের ফাঁসির রায় দেয়।

পুরানে ধর্ষণের শাস্তি:- পুরান মতে ‘ধর্ষণ’ খুবই বড় একটা পাপ, একটি ভালো পরিবেশে ধর্ষণের মতো নিকৃষ্ট কাজ একেবারেই ক্ষমার যোগ্য নয়। এই ধরনের পাপ করলে পুরাণে দোষীদের যেসব শাস্তি হতো, তা অবশ্যই সকলের জানা উচিত। ধর্ষণ হচ্ছে এমনই একটা মহাপাপ যেটা কেউ একবার করলে পরবর্তীতে সেটা শোধরানো যায় না। বিভিন্ন পুরাণে ধর্ষণকে খুনের থেকেও বড় পাপ হিসেবে গণ্য করা হয়, তাই এই পাপের শাস্তিও খুবই ভয়ানক।

গরুড় পুরাণে ধর্ষণের শাস্তি:- এই পুরানে ধর্ষণকে মহাপাপ বলে গণ্য করা হয়। যেসব পুরুষেরা ধর্ষণ করে তাদের মৃত্যুর পরেও কোন ছাড় নেই, এই ধরনের মানুষের মৃত্যুর পরে নরকে ঠাঁই হবে। পুরানে আছে এই ধরনের পাপ করলে নরকে মানসিক ও শারীরিক কঠিন শাস্তি পেতে হয়, সেই কষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়ার কোন উপায় নেই।গরুড় পুরানে লেখা আছে ধর্ষণকারী ব্যক্তির জন্য যে শাস্তি রয়েছে তা মৃত্যুর পরে জাহান্নামে গিয়ে পাপীকে ভোগ করতে হয়।

পুরানে যেসব শাস্তির কথা উল্লেখ রয়েছে, সেগুলো আলোচনা করা হলো:-

১. পুরাণে রয়েছে ধর্ষণকারীকে একটি লোহার তৈরি গরম নারী মূর্তি দিয়ে আলিঙ্গন করতে হবে, এই কষ্টটা ভোগ করার পরে সে এমনিতেই মারা যাবে এবং মারা যাওয়ার সময় নরক যন্ত্রণা ভোগ করে প্রাণ ত্যাগ করবে।

২. মহাভারতে বলা আছে এই ভূমিতে যেন কোন ধর্ষণকারী স্থান না পায়। এই ধরনের নিকৃষ্ট লোকের শাস্তি হত চরম, এদের অর্থনৈতিকভাবে ও শারীরিকভাবে চরম শাস্তি দেওয়া হতো।

৩. শিব পুরানে বলা আছে যে সকল পুরুষ কাউকে ধর্ষণ করে তারা চরম অপমানিত হয় এবং তারই সঙ্গে মৃত্যুদণ্ড ও মৃত্যুর পরে জাহান্নামের কঠিনতম শাস্তি পেতে হয়।
৪.গরুড় পুরাণে বলা আছে ধর্ষণকারীদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় এবং মৃত্যুর পরে গরম তেলের কড়াইয়ে তাদের জ্বালানো হয়।

৫. ধর্ষণকারীকে উত্তপ্ত লোহার বিছানায় ঘুমাতে হবে, এই কঠিন যন্ত্রণা তাকে অনুভব করাবে যে সে কত বড় ভুল করেছে।

৬. মহাপাপীকে ঘনকাটা যুক্ত বনে ছেড়ে দেয়, যাতে এপাশ ওপাশ যেদিকেই ঘুরুক যেদিকেই যাক কাটা তাকে মৃত্যু যন্ত্রণা দেয়।

৭. জাহান্নামের ধর্ষণকারীকে সাপ ,বিছে, পিঁপড়ে ও আরো বিভিন্ন পোকামাকড়ের কামড় খাইয়ে কষ্ট দেওয়া হতো।

‌ ৮. পুরাণে রয়েছে যেসব ব্যক্তি ধর্ষণ করে তাদের গরম ধাতু তরল খাওয়ানো হয় এতে সে মৃত্যু যন্ত্রণা ভোগ করতো।

‌ ৯. পুরাণে বলা আছে যে সকল ব্যক্তি এরকম পাপ করে তাদের পরবর্তী জীবনেও এর ফল ভোগ করতে হয়।। তারা গরীব ঘরে জন্ম নেয় এবং চিরজীবন দুঃখ কষ্ট ভোগ করেন।

১০. সমাজে এই ধরনের লোককে সর্বদা নিকৃষ্টভাবে দেখেন মানুষজন, তাদের কখনোই সম্মান করে না ছোট বড় কেউ, তাদের আমৃত্যুকাল অবমাননা সহ্য করতে হয়।

আরও পড়ুন,
*রাতে দারুন ঘুম হবে, শুধু মানতে হবে এই সহজ নিয়ম