RG Kar Case: পৈশাচিক ঘটনার দিন বন্ধ ছিল সেমিনার রুমের তালা, কে সেই তালা খুলেছিলেন?

20240816 101640 kgrR3LUl0j

RG Kar Hospital Case: আর.জি করের পৈশাচিক ঘটনার দিন বন্ধ ছিল সেমিনার রুমের তালা। তবে কে সেই তালা খুলেছিলেন? এই প্রশ্নই উঠে এসেছে সকলের সামনে। জানা গিয়েছে প্রতিদিনের মতো সেদিনও চারতলার পালমোনারি মেডিসিন বিভাগের সেমিনার রুম তালাবন্ধ ছিল। চাবি রাখা ছিল কর্তব্যরত সিস্টার-ইন-চার্জের কাছে।

তার কাছ থেকে চাবি নিয়ে কে ওই ঘর খুলেছিলেন যার উত্তর এখনো মেলেনি। ঘটনায় আন্দোলনকারী এক চিকিৎসক দাবী করেন, ‘এরকম অনেক ধোঁয়াশাই রয়েছে। যা স্পষ্ট করার জন্য আমাদের আন্দোলন চলবে।’ ঘটনার ৭ দিন কেটে গিয়েছে। হাসপাতালের পালমোনারি মেডিসিন বিভাগের প্রধান চিকিৎসক অরুণাভ দত্তচৌধুরীকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়।

তিনি বলেন, ‘৮ আগস্ট বিকেল চারটে পর্যন্ত ওই সেমিনার রুমে ক্লাস হয়। তার পরে ঘর বন্ধ করা হয়। প্রতিদিন বিকেলে ক্লাস শেষের পরে সেমিনার রুম তালাবন্ধ করে চাবি রাখা থাকে ওয়ার্ডের সিস্টার ইন-চার্জের কাছে। তার থেকে কে বা কারা চাবি নিয়েছিলেন, বলতে পারবো না।’ এমনকি সেমিনার রুমে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা থাকতেন কিনা সেই বিষয়েও বলতে পারেননি তিনি।

জানা গিয়েছে, সিস্টার-ইন-চার্জের কাছে একটি বাক্সে চাবি থাকতো। যারা সেখান থেকে চাবি নিতেন জানিয়ে নিতেন এবং ফেরত দেওয়ার সময় জানিয়ে ফেরত দিয়ে যেতেন। বাইরের কারোর পক্ষে সেই চাবি নেওয়ার কোনো সুযোগই নেই। এমনটাই স্পষ্ট করেছেন নার্সিং সুপার কৃষ্ণা সাহা। তবে সেদিন কে চাবি নিয়েছিলেন তাও বলতে পারেনি তিনি।

রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের এক আধিকারিক হাসপাতালের অধ্যক্ষের কাছে গিয়েছিলেন। সেখানে ডেকে পাঠানো হয় অরুণাভ-সহ ওই তরুণী পড়ুয়ার ইউনিট ইন-চার্জ সুমিত রায় তপাদার এবং কৃষ্ণাকে। খতিয়ে দেখা হয় পালমোনারি মেডিসিন ওয়ার্ডে কর্মরত চিকিৎসক এবং নার্সদের রেজিস্টার। আপাতত খোঁজ চলছে কে সেদিন ওই সেমিনার রুমের তালা খুলেছিলেন।

আরও পড়ুন,
*৩ কোটি টাকা থেকে বকেয়া পৌঁছোল ১১ কোটিতে , রাজপালের বাড়িতে তালা ঝোলাল রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক!