আগস্ট মাস স্বাধীনতার মাস হলেও স্বাধীনতার ৭৭ বছর পরেও মেয়েদের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা পাওয়ার জন্য নামতে হচ্ছে রাস্তায়। গত ৮ই আগস্ট কলকাতার প্রথম সারির ব্যস্ততম হাসপাতাল আর জি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে যে নৃশংস ঘটনা ঘটেছে তা শুনলে শিরদাঁড়া থেকে ঠান্ডা স্রোত বয়ে যায়। একজন ৩১ বছর বয়সী তরুণী চিকিৎসককে যে নির্মম অত্যাচার করে হত্যা করা হয়েছে তাতে চিকিৎসকদের দাবি এই ঘটনায় একাধিক ব্যক্তি যুক্ত রয়েছে।
মৃতা তরুণীর দেহ ময়নাতদন্তের পর উঠে এলো এমন সব তথ্য যা শুনলে শিউরে উঠতে হয়। জানা যাচ্ছে, ওই নির্যাতিতার শরীরের ভিতরে ও বাইরে মিলেছে একাধিক ক্ষত। এই ক্ষতগুলি তার মৃত্যুর আগেই তৈরি হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এরপর তাকে হত্যা করা হয় শ্বাসরোধ করে। তার দুই গালে অজস্র ক্ষতচিহ্ন, ঠোঁটের বাইরে ও ভিতরে একাধিক আঘাত, ডান দিকের চোয়ালে ক্ষতচিহ্ন, নাক ও ঠোঁটের মাঝখানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে।
এছাড়া যৌনাঙ্গ, গলা, কাঁধ, হাত ও বা পায়ের হাঁটুতে অজস্র ক্ষতর চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। মাথার খুলির নীচে ও ফুসফুসে ভয়াবহ ক্ষতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। ওই তরুণীর মৃত্যু হয়েছে শ্বাসরোধ করার ফলে, এমনটাই উঠে এসেছে ময়নাতদন্তে। এর পাশাপাশি নাক ও মুখ চাপা দিয়েও শ্বাসরোধ করা হয়। ময়নাতদন্ত বলছে, তরুণী চিকিৎসককে শ্বাসরোধ করাই হল মৃত্যুর কারণ। মৃত্যুর ধরণ খুন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর পাশাপাশি মিলেছে যৌন নির্যাতনের প্রমাণ। এছাড়া ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে শরীরে যেকটি আঘাতের প্রমাণ মিলেছে তার সবকটি মৃত্যুর পূর্বে। ভিসেরা রিপোর্টের জন্য রক্ত, মাথার চুল, নখ ও একাধিক নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এদিকে ময়নাতদন্তের যে রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে তা শুনে চিকিৎসকেরা অনুমান করছেন এটি একজন ব্যক্তির কাজ নয়। এই ঘটনায় একাধিক ব্যক্তি জড়িত বলে মনে করছেন তারা।
যদিও আপাতত কলকাতা পুলিশের তরফে একজন ব্যক্তিকে ধরা হয়েছে। তিনি অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়। বর্তমানে এই মামলাটি সিবিআই-এর তরফে তদন্ত করা হচ্ছে। এই হত্যার ঘটনায় আরও কেও জড়িত কিনা তা আগামীতে জানা যাবে সিবিআই কোন পথে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যায় তার উপর।
আরও পড়ুন,
*ফের প্রশ্নের মুখে নারী নিরাপত্তা! নিউটাউনে খোলা রাস্তায় নার্সের শ্লীলতাহানি, গ্রেফতার ১