টলিপাড়ায় শুটিং বন্ধ, ‘এটা তো অতীতের বীজ বপনের ফসল..’, আর কী বললেন শ্রীলেখা – চুমকিরা?

টলি পাড়ায় এখন দুই দলে বিভক্ত। একটি টেকনিশিয়ান দল ও অপরটি ডিরেক্টর ও প্রোডিউসার দল। তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব এত চরমে উঠেছে যার ফলে গোটা টলি পাড়া জুড়ে শ্যুটিং কার্যত বন্ধ রয়েছে। কিন্তু এমন অনিশ্চয়তার মধ্যে কতদিন চলবে তা জানা যায়নি। এদিকে গতকাল সোমবার প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের বালিগঞ্জের বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন সমস্ত ডিরেক্টর ও প্রোডিউসারেরা।

দুপুরে সেখানে বৈঠক বসে। কিন্তু সেখানেও কোনোরকম ইতিবাচক ফল মেলেনি। এবার এই বিষয় নিয়ে শ্রীলেখা মিত্রের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনি তার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি বলেন, তিনি এই বিষয়টি সম্পর্কে বিশেষ ওয়াকিবহাল নন৷ বর্তমানে তিনি একটি প্রজেক্টের প্রি প্রোডাকশন চলছে, সেটার কাজ করছেন বলে জানান। এরপর তিনি বলেন, টলি পাড়ায় আগে সবকিছু এত রাজনৈতিক ছিল না।

তার কথায় ফেডারেশন ভালো কাজ করত। রক্তদান শিবির করত। বর্তমানে নাকি টলি পাড়ায় রাজনীতি প্রবেশ করেছে। তিনি বলেন, “আগে এত সংসদ ছিল নাকি গিল্ড থেকে? কোনও পলিটিকাল পার্টির ইন্ডাস্ট্রি এত ব্যাপারে নাক গলানোর দরকার আছে কি? আমার কাছে তো এর কোনও যুক্তি নেই।”

অভিনেত্রীর কথায়, “ফেডারেশন যখন কাউকে কাজ দিতে পারে না, তখন কেড়ে নেওয়ার কিছু আছে কি? এমন অনেক জায়গায় আছে ভাল কাজ করে কিন্তু সুযোগ পায়নি। বা ধরো, এই যে জুলুম বাজি, এতগুলো লোক নিতে হবে। যার এত বাজেট নেই। মানুষ কাজ করতে পারে না। এইগুলো তো ভয়ের জন্য। মানুষকে ভয় দেখিয়ে এমন করে দেওয়া হয়।”

এর পাশাপাশি টলি পাড়ার আরেক প্রবীণ অভিনেত্রী চুমকি চৌধুরী বলেন, তিনি সোমবার শ্যুটিং করেননি। তিনি তার বাবার কাছেও এরকম সমস্যার কথা কখনও শোনেননি বলে জানান। তার মতে, সবকিছু নিয়ম করে ঠিক করা দরকার। সবকিছু একবার দেখে নেওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি৷

আরও পড়ুন,
*অলিম্পিকে পদক জয়ী মনু, লক্ষ্যভেদের নেপথ্যে অনুপ্রেরণা হিসেবে কী রয়েছে?