টলিপাড়ায় তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন বহুদিনের। কিন্তু এখন আর প্রেমটাকে তেমনভাবে ঢাকার চেষ্টাও করছেন না প্রতীক সেন ও সোনামণি দাস। যদিও মুখে দু’জনেই বলেন তাঁরা “খুব ভাল বন্ধু”, তবুও সাম্প্রতিক ঘটনাগুলি স্পষ্ট করে দিচ্ছে—বন্ধুত্বের সীমানা অনেক আগেই পেরিয়েছে এই জুটি।
সাম্প্রতিক সময়ে প্রতীকের নাম ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সোনামণির লাজুক হাসিই যেন সম্পর্কের বাস্তব ছবি তুলে ধরে। এমনকি অঞ্জনা বসুর জগদ্ধাত্রী পুজোতেও প্রতীকের মাকে নিয়ে গিয়েছিলেন সোনামণি। পারিবারিক পরিসরে এমন উপস্থিতি সাধারণ বন্ধুত্বের চেয়ে অনেক বেশি ইঙ্গিতবহ।
টেলি অ্য়াকাডেমি অ্যাওয়ার্ডে সম্পর্কের নতুন অধ্যায়
টেলি অ্য়াকাডেমি অ্যাওয়ার্ডসের পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দুই তারকারই আচরণ ফের জল্পনা বাড়িয়েছে। প্রতীক প্রকাশ্যে বলেন, “চর্চিত প্রেমিকাকে সোনার মতো লাগছে।” তবে বিয়ের প্রসঙ্গ উঠতেই দু’জনেই কথার মোড় ঘোরানোর চেষ্টা।
প্রতীকের মজার মন্তব্য—
“আমি কী বিয়ে করব! আমার তো বিয়ের বয়স পেরিয়ে গিয়েছে।”
অন্যদিকে সোনামণির খুনসুটি—
“হ্যাঁ, বিয়ের জন্য তো পাত্র খুঁজছি…”
তবুও গোপন সূত্রে শোনা যাচ্ছে, ২০২৬ সালেই নাকি চার হাত এক হতে পারে প্রতীক–সোনামণির। তলে তলে নাকি প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গেছে।
প্রতীকের মায়ের প্রশংসা: ভবিষ্যৎ বৌমা?
জগদ্ধাত্রী পুজোর দিনই প্রতীকের মা সোনামণির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছিলেন। শুনতে পাওয়া যায় তাঁর মুখে—
“অনেক মিষ্টি মেয়েই তো রয়েছে, কিন্তু সোনামণি খুব বিশেষ। তাই সব জায়গায় ওকে সঙ্গে নিয়ে যাই।”
টেলি অ্যাওয়ার্ডের মঞ্চেও প্রতীকের মা ছিলেন তাঁদের পাশে। ‘হবু শাশুড়ি’ প্রসঙ্গে সোনামণির মন্তব্য—
“ওঁর শরীরটা বিশেষ ভালো নয়, তাই একটু যত্নে রাখতে হয়।”
এই কথাই আরও পরিষ্কার করে দেয় সম্পর্কের আন্তরিকতা।
সোনামণির ব্যক্তিজীবন: অতীতের অধ্যায় শেষ
মাত্র ১৮ বছর বয়সে, ২০১৫ সালে নাচের কোরিওগ্রাফার সুব্রত রায়ের সঙ্গে বিয়ে করেছিলেন সোনামণি। তবে বিয়ের পর বেশিদিন সুখ স্থায়ী হয়নি। দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে চূড়ান্ত হয় তাঁদের ডিভোর্স। সেই সময় থেকেই মোহর ধারাবাহিকের শুটিং চলাকালীন প্রতীকের সঙ্গে নাম জড়াতে শুরু করে সোনামণির।
মোহর–পর্বেই জনপ্রিয় হয় তাঁদের পর্দার জুটি, পরে ‘এক্কা দোক্কা’তেও দর্শক আবার ফিরে পান তাঁদের রসায়ন। বর্তমানে সোনামণি অভিনয় করছেন শুভ বিবাহ ধারাবাহিকে, আর প্রতীক আমাদের দাদামণি–তে।
ভক্তদের আশায় চোখ
টলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অনস্ক্রিন–অফস্ক্রিন জুটিকে ঘিরে ভক্তদের চাহিদা একটাই—
প্রতীক–সোনামণি যেন খুব শিগগিরই যাক সাত পাকে।
আরও পড়ুন
Shreya Ghoshal: ভক্তদের থেকে লাল রং চাইলেন শিল্পী শ্রেয়া! জানুন নেপথ্য কারণ
বর্তমানে তাঁদের লাজুক স্বীকারোক্তি, পারিবারিক মেলামেশা এবং একসঙ্গে প্রকাশ্যে উপস্থিতি—সব মিলিয়ে এই সম্পর্কের ভবিষ্যত নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। ভক্তরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষায়—২০২৬–এ কি সত্যিই বাজবে বিয়ের সানাই?
