ধীরে ধীরে বদলে যাচ্ছে পৃথিবীর জলবায়ু। বর্তমানে বিশ্ব উষ্ণায়নের জন্য মরু অঞ্চলের বরফ গলতে শুরু করেছে। আর এখানেই আশঙ্কার মেঘ জমা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা চিন্তিত এমন পরিস্থিতির কারণে। আগে বছরের নির্দিষ্ট সময় নির্দিষ্ট জলবায়ুর দেখা মিলত৷ কিন্তু বর্তমানে পৃথিবীর দূষণ বেড়ে যাওয়ার ফলে পৃথিবীর জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটছে। আর তার ফলে নির্দিষ্ট সময় নির্দিষ্ট জলবায়ুর দেখা পাওয়া দুষ্কর হয়ে উঠেছে।
ধীরে ধীরে ভারতের জলবায়ুর এক বিপুল পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ঋতুগুলির যে ধরন আগে লক্ষ্য করা যেতো তা যেনো হারিয়ে যেতে বসেছে। গ্রীষ্ম, বর্ষা ও শীত কালের দাপট যেনো গোটা আবহাওয়ার মরশুমকে ঘিরে রেখেছে। হেমন্ত কিংবা বসন্ত কাল যেনো নিরুদ্দেশ হয়ে গিয়েছে। হেমন্তের অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য কিংবা বসন্তে প্রকৃতির বিদায়ে যে বিষন্নতা তৈরি হত তা এখন চোখে পড়ার মতন নয়।
এমত অবস্থায় বহু বিজ্ঞানী দাবি করছেন, আগামী ২০৫০ সালের মধ্যে জলস্তর এতটাই বৃদ্ধি পাবে যে ভারতের বেশ কিছু শহর জলের নীচে চলে যেতে পারে। আরএমএসআই-এর মতে, মুম্বই, কোচি, ম্যাঙ্গালোর, চেন্নাই, বিশাখাপত্তনম সহ তিরুবনন্তপুরমের অনেক জায়গা জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে আগামী ২০৫০ সালে ডুবে যেতে পারে এই অঞ্চলগুলি।
এছাড়া জলের তলায় মিলিয়ে যেতে পারে মুম্বইয়ের হাজি আলি দরগাহ, জওহরলাল নেহরু পোর্ট ট্রাস্ট, ওয়েস্টার্ন এক্সপ্রেস হাইওয়ে, বান্দ্রা-ওরলি সি লিঙ্ক। মরু অঞ্চলের বরফ গলে যাওয়ার কারণে পৃথিবীর জলস্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে ক্রমাগত। এর ফলে দীর্ঘ রাস্তা ডুবে যেতে পারে জলের তলায়।
এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে চেন্নাইয়ের ৫৫টি ভবন, কোচির ৪৬৪টি বিল্ডিং, তিরুবনন্তপুরমের ৩৮৭টি বিল্ডিং, বিশাখাপত্তনমের ২০৬টি বাড়ি ও ৯ কিলোমিটার রাস্তা জলের তলায় চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা।
আরও পড়ুন,
*পরপুরুষের প্রতি ৫টি কারণে আকৃষ্ট হয় তরুণীরা
*প্রচন্ড দাবদাহে পাতি লেবু ১ মাস তরতাজা থাকবে, জানুন উপায়