বুলডোজার নীতিতে বড়সড় রায় দিলো সুপ্রিম কোর্ট

বুলডোজার নীতির বিরুদ্ধে বড়সড় রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে উপযুক্ত কারণ ছাড়া কারোর বাড়ি বুলডোজার দিয়ে ভাঙা যাবে না। কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে তার জন্য তার বাড়ির বাকি সকল সদস্যের উপর অত্যাচার বরদাস্ত করা যাবে না। বাড়ির বাকি সদস্যের মাথার ছাঁদ কেড়ে নিতে পারে না সরকার বা প্রশাসন, এমনই রায় দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত।

বুধবার বুলডোজার নীতির বিরুদ্ধে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের তরফে যে রায় দেওয়া হয়েছে তা শুধুমাত্র কোনও একটি রাজ্যের জন্য নয়, বরং গোটা দেশের জন্য প্রযোজ্য। আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, শুধু অপরাধী বা ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার কারণে কোনও ব্যক্তির বাড়িতে বুলডোজার চালানো যাবে না। সর্বোচ্চ আদালত স্পষ্ট করে জানিয়েছে, সরকার বা প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ আইনকে উপেক্ষা করে বুলডোজারের মতন নীতি নিতে পারবে না।

দেশের শীর্ষ আদালতে বিচারপতি বিআর গাভাইয়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের তরফে বুলডোজার নীতিতে এমন রায় দেওয়া হয়েছে। আদালতের তরফে কড়া মন্তব্য করে বলা হয়, শুধু কোনও একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোনও অপরাধের অভিযোগের ক্ষেত্রে সরকার বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বুলডোজারের মতন নীতি কার্যকর করতে পারে না। আদালতের তরফে আরও জানানো হয়, বুলডোজার নীতি অসাংবিধানিক। কোনওরকম বিচার ছাড়া কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা যাবে না।

কোনও ব্যক্তি আইনের চোখে দোষী প্রমাণিত না হলে সরকার বা প্রশাসন তার বিচারের দায়িত্ব নিতে পারে না৷ আদালত জানিয়েছে, বেআইনিভাবে বাড়ি ভাঙলে ওই ব্যক্তিকে সরকার বা প্রশাসনের তরফে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এর পাশাপাশি যারা বুলডোজারের মতন সিদ্ধান্ত ফলপ্রসূ করবেন তাদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।

শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, নোটিশের তথ্য জেলা কর্মকর্তাকে দিতে হবে। অবৈধ নির্মাণ হলে সেটি অপসারণ করার সুযোগ দিতে হবে। বাড়িটি অবৈধ কেনো তা নোটিশে উল্লেখ থাকতে হবে। এই নোটিশ জারি করবে স্থানীয় পৌর প্রশাসন কর্পোরেশন বা পঞ্চায়েত। এদিন বিচারপতি গাভাই মন্তব্য করেন, “ভারত একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ, আমরা যা সিদ্ধান্ত নিই, তা সকল নাগরিকের জন্য প্রযোজ্য। কোনো একটি ধর্মের জন্য আলাদা আইন থাকতে পারে না।”

error: Content is protected !!