‘… তাদেরও শাস্তি হওয়া উচিৎ’, আর জি কর কাণ্ড নিয়ে সরব পরমব্রত

আর.জি. কর কাণ্ড নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। পাশাপাশি এও দাবী করলেন যারা প্রশ্ন করছেন ওই দিন মেয়েটি সেখানে কী করছিল তাদেরও শাস্তি হওয়া উচিৎ। আর.জি কর হাসপাতালে যে ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটেছে তা নিয়ে উত্তাল রাজ্যবাসী। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে তারকারা চাইছেন অভিযুক্তের কঠোরতম শাস্তি হোক।

তাই নিয়ে এবার মুখ খুললেন পরমব্রত। বললেন, ‘কলকাতা বরাবরই মহিলাদের জন্য সুরক্ষিত শহর, অন্তত আমার তাই মনে হয়। এই ধরনের ঘটনা দিল্লী, গুরুগ্রাম কিংবা মুম্বইয়ের মতো শহরে ঘটতে দেখেছি। কলকাতা সব সময় সব থেকে সুরক্ষিত শহর বলেই চিহ্নিত হয়েছে। তাই এই ঘটনার পর আমার শহরকে নিয়ে যে ধারণা বা ভাবনা ছিল, তা ভীষণ ভাবে আঘাত পেয়েছে। সেটা আমি মেনে নিতে পারছি না।’

যদিও প্রশাসনের ভূমিকায় সন্তুষ্ট তিনি। এই নিয়ে বলেন, ‘প্রশাসন খুব তৎপরতার সঙ্গে ঘটনার সমাধান করার চেষ্টা করছে। আমি বিচার চাই। যে বা যারা অপরাধী, তারা যাতে আইনসম্মত ভাবে শাস্তি পায়। আসলে যখন এই ধরনের ঘটনা ঘটে, তখন মনে হয় আমরা অপরাধীকে মেরে ফেলি। কিন্তু, সেটা ঠিক নয়। বিচারসম্মত উপায়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির প্রয়োজন। যাতে মানুষের আইন ব্যবস্থার উপর আস্থা থাকে।’

অন্যদিকে এরই মাঝে আবার অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন সেদিন মেয়েটি সেখানে কেন গিয়েছিলেন? সেই প্রসঙ্গে অভিনেতার মতামত, ‘আমি শুনেছি বেশ কিছু মানুষ প্রশ্ন তুলেছেন, কেন রাতে মেয়েটি ওই ঘরে গিয়েছিলেন। যারা এ সব বলছেন আমি অপরাধীর সঙ্গে তাদেরও শাস্তি চাই। তারা কেন বলেছিলেন এই কথা? যদি বলেও থাকেন, তবে গুরুত্বপূর্ণ পদে বসে থাকার অধিকার তাদের আছে কি না, সেই বিচার হওয়া দরকার।’

এই ঘটনায় ইস্তফা দিয়েছেন অধ্যাপক তথা অধ্যক্ষ। যে বিষয়ে পরমব্রত বলেন, ‘উনি তো ইস্তফা দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছেন। এতো কিছুর পর ইস্তফা না দিলে বুঝতাম, মানুষই নন। তবে ওর করা মন্তব্যেরও বিচার প্রয়োজন।’ এখানেই শেষ নয় নারী সুরক্ষার বিষয় তিনি বলেন, ‘একজন ছেলে যদি রাতে বাইরে বেরোতে পারেন তাহলে একজন মেয়েও পারেন। তার সুরক্ষার দায়িত্ব শুধু প্রশাসন নয় পুরুষ সমাজের ওপরেও রয়েছে।’

আরও পড়ুন,
*বিয়ের মাত্র ৪ মাস পর ১৫ বছসের বন্ধুকে হারালেন রূপাঞ্জনা