গত ১৮ই আগস্ট টেকনিশিয়ান স্টুডিওতে টলিউডের একাধিক কলাকুশলীরা প্রতিবাদ মিছিলে সামিল হয়েছিলেন। যদিও সেখানে অনুপস্থিত ছিলেন টোটা রায় চৌধুরী। কী কারণে তিনি সেখানে উপস্থিত হতে পারেননি সেই বিষয়ে সম্প্রতি মুখ খুলেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
লেখেন, ”উত্তর-পূর্ব কলকাতায় থাকার দরুন ১৪৪-এর জ্যামে আটকে পড়ে যখন বুঝলাম যে কোনোভাবেই আর সময়মত টালিগঞ্জে সতীর্থদের মিছিলে পৌঁছতে পারবো না তখন কোনক্রমে গাড়ি ঘুরিয়ে বাড়ি ফিরে এসে টিভি’তে খবরের চ্যানেল চালিয়ে বসতে গিয়ে স্থানুবৎ হয়ে গেলাম।”
এরপরে তিনি প্রশংসা করেন ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান এবং মহামেডান ক্লাবের একতার। সমস্ত বিভেদ ভুলে এক হয়ে তিলোত্তমার বিচারের দাবীতে গলা ফাটাতে দেখা গিয়েছে সমস্ত সদস্যদের। সেই বিষয়টির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন টোটা। লিখেছেন এক ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে রইলেন তিনি।
তার মতে, ‘পর্দায় তখন ভেসে উঠেছে এক বিরলতম দৃশ্য। পাশাপাশি সাদা-কালো, সবুজ-মেরুন ও লাল-হলুদ পতাকা একসঙ্গে আন্দোলিত হচ্ছে। আর সামনে একদল যুবক যুবতী ভারতবর্ষের পতাকা বুকে ধরে জাতীয় সঙ্গীত গাইছে। গত তিন দশকে এতো কিছু দেখে নিয়েছি যে আজকাল বুকে আগুন জ্বললেও চোখে জল আসে না। আজ এলো।’
‘ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে রইলাম। তিন প্রধানের এই সম্মিলিত আবেগ মনে হয় না গত একশো বছরে কেউ প্রত্যক্ষ করেছেন। বোন তিলোত্তমা, তুমি যে কতজনকে নাড়িয়ে গেলে, কতজনকে জাগিয়ে গেলে, কতজনকে মিলিয়ে গেলে; সেটা তুমি কল্পনাও করতে পারবে না। তোমার আত্মার শান্তি কামনা করি। কিন্তু কোটি কোটি বাঙালী শান্ত হবে না যতদিন না তুমি সুবিচার পাবে।’
আরও পড়ুন,
*১০ দিন হতে চললো, কিন্তু বিচার? আদৌ পাওয়া যাবে কি? আরজি কর কান্ড নিয়ে চিন্তিত অনুপম