অকাল প্রয়াণের পর প্রথম জন্মদিনে আরও একবার আবেগে ভেসে উঠল অসম। কিংবদন্তি গায়ক জুবিন গর্গের ৫৩তম জন্মদিনে তাঁকে ঘিরে শোক, স্মৃতি আর ভালোবাসায় রঙিন হয়ে উঠল সোশাল মিডিয়া। তাঁর চলে যাওয়ার শোক থেকে এখনও বেরোতে পারেননি অনুরাগীরা। সবচেয়ে বেশি ভেঙে পড়েছেন স্ত্রী গরিমা সাইকিয়া, যিনি জীবনের প্রতিটি ওঠাপড়ায় জুবিনের পাশে ছায়াসঙ্গীর মতো ছিলেন।

গরিমার আবেগঘন পোস্ট—“জন্মজন্মান্তরে আমি আমাদের কাহিনী লিখে যাব”

এদিন জুবিনের সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে তোলা অদেখা ছবি পোস্ট করে শোকভেজা ক্যাপশনে গরিমা লেখেন—
“জন্মজন্মান্তরে আমি আমাদের কাহিনী লিখে যাব। ভালো থেকো জুবিন।”

অনুরাগীদের মতো তাঁরও বিশ্বাস, জুবিন কখনও পুরোপুরি চলে যাননি। তাঁর স্মৃতি, তাঁর সুর, তাঁর প্রতিটি মুহূর্ত আজও যেন ফিরে আসে।
স্বামীকে হারানোর শোকে কাতর গরিমা গতমাসেও দিনরাত এক করে কাজ করেছেন জুবিনের শেষ সিনেমা ‘রই রই বিনালে’ মুক্তির জন্য। অথচ সেই সময়েই অসমজুড়ে ঝড় উঠেছিল গায়কের মৃত্যুর বিচার চেয়ে। মানসিক চাপের মধ্যেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি।

স্মরণে জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়—“কিছু মানুষ কখনও ছেড়ে যান না”
গায়কের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও সঙ্গীত পরিচালক জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ও এদিন স্মৃতিচারণায় ভেসে যান। সোশাল মিডিয়া পোস্টে তিনি লেখেন—
“শুভ জন্মদিন আমার প্রিয় বন্ধু। কিছু মানুষ থাকেন যাঁরা কখনও ছেড়ে যান না। তুমি তোমার সুরেই সবার মধ্যে জীবিত থাকবে। তোমাকে আজ খুব মনে পড়ছে।”
সিঙ্গাপুরে মর্মান্তিক মৃত্যু—রহস্য এখনও কাটেনি
গত ২৮ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরে ‘নর্থ ইস্ট ফেস্টিভ্যাল’-এ অংশ নিতে গিয়ে মৃত্যু হয় জনপ্রিয় গায়কের। অনুষ্ঠানে পারফর্ম করার কথা থাকলেও তার আগেই ঘটে যায় বিপর্যয়। জানা যায়, স্কুবা ডাইভিংয়ের সময় ডুবে শ্বাসকষ্ট শুরু হয় জুবিনের। তাঁকে দ্রুত উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হলেও শেষরক্ষা হয়নি।

গায়কের মৃত্যুর কারণ এখনও রহস্যে আবৃত। তদন্ত চলছে, প্রশ্ন উঠছে নানা দিক থেকে—কীভাবে এমন অবস্থা তৈরি হল, কীই বা ছিল প্রকৃত কারণ?

অসমের মানুষের কাছে জুবিন গর্গ শুধু এক সঙ্গীতশিল্পী নন, আবেগের আরেক নাম। তাই তাঁর জন্মদিন আজ পরিণত হয়েছে স্মৃতির আবরণে মোড়া এক বিষাদময় দিনে—তবুও তাঁর সুর, তাঁর উপস্থিতি এখনও মনে করিয়ে দেয়, তিনি কখনও সত্যিই চলে যাননি।
আরও পড়ুন
Sohini: রাজনন্দিনীর বেশে ধরা দিলেন অভিনেত্রী সোহিনী! চোখ সরাতে পারছেন না মুগ্ধ দর্শকেরা
