টেলিভিশনের পর্দা থেকে বড়পর্দা—সব জায়গায় অভিনয়ে নিজের দক্ষতা প্রমাণ করেছেন বিক্রান্ত মাসে। ব্যক্তিগত জীবনেও অভিনেতা সমান সফল। স্ত্রী শীতল এবং পুত্রসন্তান বরদানকে নিয়ে তাঁর সংসার আজ ভরপুর। কিন্তু সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে বিক্রান্ত এমন এক অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেন, যা শুধু তাঁর জীবনই নয়, একজন মা ও নারীর প্রতি তাঁর দৃষ্টিভঙ্গিকেও আমূল বদলে দিয়েছে।
২০২৪ সালে প্রথমবার বাবা হন বিক্রান্ত। সেই সময় স্ত্রী শীতলকে ৩০ ঘণ্টা প্রসবযন্ত্রণা সহ্য করতে দেখেছিলেন তিনি—যা তাঁর মনে গভীর রেখাপাত করে।
বিক্রান্ত বলেন, “একজন সন্তানের বেড়ে ওঠায় বাবার ভূমিকা যতই বড় হোক, মায়ের ভূমিকার সঙ্গে তার তুলনা চলে না। শীতলকে এত দীর্ঘ সময় যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যেতে দেখে আমার উপলব্ধি হয়—মাতৃত্ব কতটা কঠিন আর মহান।”
দশ বছর ধরে শীতলকে চেনেন বিক্রান্ত। তবে স্ত্রীকে গর্ভাবস্থায় দেখে তাঁর উপলব্ধি আরও গভীর হয়। শারীরিক পরিবর্তন, স্ফীত পেট, যন্ত্রণা—সবকিছুই তাঁকে নতুনভাবে ভাবতে শেখায়। তাঁর কথায়, “ওর প্রতি আমার ভালোবাসা আরও বেড়ে গিয়েছে। একজন মাকে দেখার দৃষ্টিভঙ্গি পুরো পালটে গেছে।”
বিক্রান্ত জানান, সন্তানের নাম ‘বরদান’ রেখেছেন শীতল নিজেই। আর তিনি মনে করেন, জীবনে শীতলকে পাওয়া তাঁর জন্য আশীর্বাদ। অভিনেতার ভাষায়, “শীতল আমার জীবনে আলো। ওর জন্য আমার অনেক অভিযোগ মুছে গিয়েছে। কখনও কমিটমেন্ট ফোবিয়া হয়নি—এর কৃতিত্ব পুরোপুরি ওর।”
অভিনয়ের যাত্রা টেলিভিশন দিয়ে শুরু করেছিলেন বিক্রান্ত। সময়ের সঙ্গে বড়পর্দায়ও নিজের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন। সম্প্রতি পেয়েছেন তাঁর কেরিয়ারের সবচেয়ে বড় স্বীকৃতি—জাতীয় পুরস্কার। অভিনয়ের সাফল্যের সঙ্গে ব্যক্তিজীবনেও তিনি আজ পরিপূর্ণ এক মানুষ, যার পিছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা স্ত্রী শীতলের।
আরও পড়ুন
বিশ্বজয়ের আনন্দে কেবিসির মঞ্চে হরমনপ্রীতদের সঙ্গে নাচলেন অমিতাভ
২০২২ সালের ভ্যালেন্টাইনস ডে-র মরশুমে শীতল ও বিক্রান্ত বিয়ে করেন। আজ তাঁদের পরিবারে নতুন আলো এনে দিয়েছে ছোট বরদান—একে কেন্দ্র করে আরও গাঢ় হয়েছে তাঁদের সম্পর্ক।
আরও পড়ুন
স্থগিত বিয়ের জল্পনার অবসান? স্মৃতি–পলাশ ঘিরে নতুন তথ্য, মুখ খুললেন ভাই শ্রবণ মন্ধানা