সামনেই উচ্চমাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষা শুরু হতে চলেছে। এবার সেই পরীক্ষায় মাধ্যমিক পরীক্ষার মতন প্রশ্ন সংক্রান্ত বিতর্ক এড়াতে স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের নির্দেশ দিলো উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। নির্দেশে বলা হয়েছে, এমন কোনও প্রশ্ন পরীক্ষায় করা যাবে না যা রাজ্যের সম্মানহানির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এর পাশাপাশি পরীক্ষা হওয়ার পর প্রশ্নপত্র শিক্ষা সংসদকে ইমেল করে পাঠাতে হবে।
টেস্ট পরীক্ষায় প্রশ্ন করতে হবে সংশ্লিষ্ট স্কুলের শিক্ষকদেরকেই। জানা যাচ্ছে, এতদিন সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা পরিচালনা করার জন্য সমস্ত স্কুলগুলি বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনের কাছ থেকে প্রশ্ন কিনে পরীক্ষা ব্যবস্থা পরিচালনা করত। শিক্ষকদের দাবি, এর মাধ্যমে পরীক্ষার খরচ সহ শিক্ষক ঘাটতির সঙ্গে সামঞ্জস্য আনা সম্ভব হতো। কিন্তু শিক্ষা সংসদের নতুন নির্দেশের ফলে ছোটো ও মাঝারি স্কুলগুলির উপর আর্থিক বোঝা বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
রাজ্য জুড়ে বর্তমানে ছয় হাজারেরও বেশি উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধীনস্থ স্কুল রয়েছে। এর মধ্যে একাধিক স্কুলে ছাত্রের সংখ্যা অনেক কম। এদিকে স্কুলে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ রয়েছে। এর ফলে স্কুলগুলিতে শিক্ষকের ঘাটতি একটি বড় সমস্যা।
এই প্রসঙ্গে রাজ্য প্রধান শিক্ষক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতির কথায়, “বহু বিষয় রয়েছে যেখানে স্কুলগুলিতে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক নেই। প্রশ্ন তৈরি করা থেকে শুরু করে পরীক্ষাগ্রহণ পর্যন্ত স্কুলগুলির যথেষ্ট খরচ হয়। সেই আর্থিক খরচ কাউন্সিল বহন করে না, স্কুলগুলিকেই করতে হয়। তা হলে কাউন্সিলের এই নির্দেশ কেন?”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গতবছর মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষায় প্রশ্ন পত্রে ‘আজাদ কাশ্মীর’ নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। আর এরপরই শিক্ষামহলে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। সংশ্লিষ্ট স্কুলকে শোকজ করা হয় এবং জানা যায়, সংগঠনের কাছ থেকে প্রশ্ন কেনার ফলে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তাই এবারের টেস্ট পরীক্ষার আগেই শিক্ষা সংসদের তরফে সংশ্লিষ্ট স্কুলের শিক্ষকদের টেস্টের প্রশ্ন তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।