এদিন ৩১শে জুলাই নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দুর্গাপুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চলতি বছরের দুর্গাপুজোর অনুদান ঘোষণা করেন। এবারের পুজো কমিটিগুলিকে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হবে বলে এদিন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় এই বছর অনুদানের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে ২৫ হাজার টাকা। এর পাশাপাশি তিনি জানান, আগামী ৫ই অক্টোবর দুর্গাপুজোর কার্নিভাল করা হবে।
তবে অনুদান বাড়ানোর পাশাপাশি বিদ্যুৎ-এর বিলে ৮০ শতাংশ ছাড়, ফায়ার লাইসেন্স সহ একাধিক সরকারি ফি মকুব করার কথাও ঘোষণা করা হয়েছে। এদিন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ কর্তা, কলকাতা পুলিশের শীর্ষ আধিকারিক এবং ‘ফোরাম ফর দুর্গোৎসব’ সংগঠনের প্রতিনিধিরা। সেখানেই এবছরের অনুদানের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। যদিও পুজো উদ্যোক্তাদের আশা ছিল, এবছর অনুদানের পরিমাণ বৃদ্ধি করা হতে পারে। এবার সেই আশা পূর্ণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
২০১৮ সাল থেকে দুর্গা পুজোয় অনুদান দেওয়া শুরু করে তৃনমুল সরকার। ২০১৮ সালে অনুদান দেওয়া হয় ১০ হাজার টাকা। এর পরের বছর সেটি এক ধাক্কায় হয়ে যায় ২৫ হাজার টাকা। তবে প্রতি বছরই সেই অনুদানের টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। এবছর অনুদানের টাকা দেওয়া হবে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা। গত বছর ২০২৪ সালে দুর্গাপুজোয় অনুদান দেওয়া হয়েছিল ৮৫ হাজার টাকা। সেইসময় মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন পরের বছর অর্থাৎ ২০২৫ সালে অনুদান দেওয়া হবে ১ লক্ষ টাকা।
তবে সেই ঘোষণার থেকে অনেকটাই বেশি অনুদান দেওয়ার কথা বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য সরকারের অনুদান নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলায় হাইকোর্ট জানায়, সরকারের দেওয়া অনুদানের টাকা পুজোর কোনো কাজে অর্থাৎ প্রতিমা কেনা, ঢাকি পুরোহিতকে দক্ষিণা দেওয়ার কাজে ব্যবহার করা যাবে না। বরং সেই টাকা সামাজিক কাজে অর্থাৎ অ্যাম্বুলেন্স, কুইক রেসপন্স টিমের মত বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করতে হবে।