জুবিন গার্গের মৃত্যুর ১২ দিনের মাথায় গ্রেফতার সিদ্ধার্থ শর্মা ও শ্যামকানু মহন্ত। দু’জনকেই তদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল দিল্লিতে। সেখানেই তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলেই খবর।
দিল্লির বিমানবন্দর থেকে শ্যামকানু মহন্তকে এবং সিদ্ধার্থকে দিল্লির এক আবাসন থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্ৰিয় শিল্পীর মৃত্যুর পর প্রথম থেকেই এঁদের দিকে আঙুল উঠছিল। স্কুবা ডাইভিং করতে নেমে মৃত্যু হয়েছিল গায়কের। তখন গায়কের পরনে ছিল না কোনও ‘লাইফ জ্যাকেট’। কী ভাবে এত বড় গাফিলতি হল সেই প্রশ্ন উঠেছে একাধিকবার।
দিন কয়েক আগেই এই ঘটনায় জুবিনের ব্যান্ডের আর এক সদস্য শেখর জ্যোতি গোস্বামীকে আটক করা হয়েছিল। এর পর থেকেই সিদ্ধার্থ ও শ্যামকানুর খোঁজ চলছিল। জুবিনের মৃত্যুর পর থেকে তাঁরা গুয়াহাটিতে ফেরেননি। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, ৬ অক্টোবরের মধ্যে দু’জনকেই বিবৃতি দিতে হবে। ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, “দুর্গাপুজো শুরু হচ্ছে। তাই চাইছি না, এখনই ওঁরা আসুন। কিন্তু ৬ অক্টোবর ওঁদের ফিরতেই হবে গুয়াহাটিতে এবং সিআইডিকে বিবৃতি দিতে হবে।”
এই তো কিছু দিন আগে সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্টে মুখ খুলেছিল সিদ্ধার্থর। জুবিনের বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ ওঠে সিদ্ধার্থের বিরুদ্ধে। একই সঙ্গে এও বলা হয়, গায়কের টাকাও নাকি নয়ছয় করেছেন তিনি। সমস্ত কটাক্ষের জবাবে সিদ্ধার্থ জানান, “এই গুঞ্জন একেবারেই ভিত্তিহীন এবং দুঃখজনক। ওঁর মৃত্যুর তদন্তের জন্য তৈরি বিশেষ দলের সঙ্গে সহযোগিতা করেছি এবং ভবিষ্যতেও করব।”
সব শেষে জুবিনের ভক্তদের কাছে সিদ্ধার্থর অনুরোধ, “দয়া করে শান্তিতে তদন্ত হতে দিন। জুবিনদার প্রতি এটুকু আমাদের কর্তব্য।”
উল্লেখ্য, ১৯ শে সেপ্টেম্বর গায়ক জুবিন গার্গের হঠাৎ মৃত্যু শোকাহত করেছে অসমবাসী সহ গোটা দেশের মানুষকে। তার মৃত্যুর পর একাধিকবার সন্দেহের আঙুল উঠেছে সিদ্ধার্থ শর্মা ও ‘নর্থ-ইস্ট ফেস্টিভ্যাল’-এর আয়োজক শ্যামকানু মহন্তর দিকে। গায়কের মৃত্যুর প্রায় দু, সপ্তাহের মাথায় অবশেষে তারা গ্রেফতার।
আরও পড়ুন,
মহিলা ক্রিকেট বিশ্বকাপের মঞ্চে জুবিন স্মরণ! ‘মায়াবিনী রাতির বুকুত’ গেয়ে শ্রদ্ধার্ঘ্য শ্রেয়ার