RG Kar Case: ‘১৫০ গ্রাম বীর্য মিলেছে শরীরে’, আরজি কর কাণ্ড প্রতিবাদে সরব যীশু-নীলাঞ্জনার কন্যা সারা

RG Kare Case: বেশ কিছু দিনে ধরে জনপ্রিয় অভিনেতা যিশু সেনগুপ্তর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কাটাছেঁড়া কম হচ্ছে না। ২০ বছরের দাম্পত্য জীবন ভাঙনের মুখে। নীলাঞ্জনার সঙ্গে ডিভোর্স কার্যত প্রায় পাকা হয়ে গিয়েছে। সামাজিক মাধ্যম থেকে বহু দূরে, দেননি মিডিয়ার কোন প্রশ্নের উত্তর। আরজি কর ইস্যুতেও কিছু অভিনেতার তরফে কিছু বলতেও সোনা যায়নি। তবে এই জ্বলন্ত ইস্যু নিয়ে আর চুপ থাকলেন না যিশু সেনগুপ্তর কন্যা সারা সেনগুপ্ত।

তারকা কন্যাকে এবার দেখা গেলো, তাঁর শহরে ঘটে যাওয়া নারকীয় ঘটনার প্রতিবাদে সরব হতে। এদিন নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে আর জি কর ইস্যুতে সারা লিখেছেন, ওই চিকিৎসক তরুণীর বাবা-মা’র আর্তনাতের কথা, তরুণীর যন্ত্রণার কথা। যা জানার পর কেঁদে উঠবেন আপনিও।

Screenshot 20240815 1007052 TiyRoI525E

সারা যে বিবৃতি সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন, তাতে লেখা রয়েছি- ‘তাঁর বাবা খুঁজে পেল মেয়ের নগ্ন, নিথর দেহটা মেঝেতে পড়ে আছে, ভাঙা পেলভিক গার্ডেল। ভাঙা হাত-পা, চোখের এক কোণায় কাঁচ বিঁধে রক্তপাত হয়েছে। শেষ মুহূর্তে তাঁর যন্ত্রণাটা অকল্পনীয়। ওঁর বাবা-মা’কে তিন ঘণ্টা ধরে দাঁড় করিয়ে রাখা হল ক্রাইম সিনে পৌঁছানোর পর। নির্যাতিতার যৌনাঙ্গে ১৫০ গ্রাম বীর্য মিলেছে !

Screenshot 20240815 1006592 y8z9FPiD7H

একজন পুরুষের দেহে তো মাত্র ১৫ গ্রাম বীর্যই থাকে। বলির পাঁঠা এখন কাস্টডিতে। ডিন জানিয়েছে, সে নাকি সাইকোটিক। সিবিআইয়ের হাতে কেস যেতেই হাসপাতালে পুননির্মানের কাজ শুরু!… এটা এখন আর কোনও চিকিৎকদের প্রতিবাদ নয়, এটা অমানবিক!…. তারা বোকা, যারা ভেবেছিলেন নির্ভয়া-কাণ্ডের পর কিছু বদল আসবে। ১২ বছর পেরিয়েছে কিচ্ছুই বদলায়নি। কোথাউ বলছিলাম, এই দেশে নাকি ডাক্তার হয় অপরাধের, আসলে এই দেশে তো স্বপ্ন দেখাই অপরাধ।’

নীলাঞ্জনা কন্যা আরও লেখেন, ‘আমি আরও অনেক কিছুই বলতে চাই, কিন্তু সঠিক ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। সে আরও জানিয়েছে, এটা কোন দেশ অথবা কোন শহরের প্রশ্ন নয়, বরং মানসিকতার প্রশ্ন। ভয় ধরিয়ে দিচ্ছেএই ধরণের অপরাধকে সাধারণ ভাবা এবং এই ধরণের হিংসার সঙ্গে আপোস করা।

জানিয়ে রাখা ভাল, যে সব তথ্য সারার পোস্টে উঠে এসেছে নির্যাতিতার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি প্রকাশ্যে আসেনি। প্রথমে দিকে দাবি করা হয়েছিল, নির্যাতিতার গলার হাড় নাকি ভেঙে গিয়েছে। তবে উল্লেখ্য, টাইমস অফ ইন্ডায়িরা প্রতিবেদন অনুযায়ী, ময়নাতদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্টে নাকি নির্যাতিতার শরীরে কোথাও কোনও হাড় ভাঙার উল্লেখই নেই। আর তাঁর চোখে রক্তক্ষরণ হয়েছে নাকি চশমার কাচ ভেঙে। এছাড়া থাইরয়েড কার্টিলেজে রক্ত জমাট বাঁধে।

চিকিৎসক সুহর্ণ গোস্বামী দাবি জানিয়েছিলেন , নিহত তরুণীর যৌনাঙ্গের ভেতর থেকে প্রায় ১৫০ গ্রামের বেশি তরল নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তার মধ্যে রক্তমাখা বীর্য থাকতে পারে এমনটা দাবি করেছিলেন তিনি। এই বিষয়টি নিয়েও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও তথ্য প্রকাশ্যে আসেনি।

আরও পড়ুন,
*RG Kar Case: ‘মনুষ্যত্ব বলে কি কিছুই নেই?’ প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে দ্রুত বিচারের দাবি কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের

error: Content is protected !!