৬ বারের পর ফের সাপে কামড়ালো বিকাশ দ্বিবেদীকে

20240717 192139

একবার নয়, দুই বার নয়, পরপর ৭ বার সাপের কামড়ে নাজেহাল এক তরুণ। আর এই ঘটনা সকলকে তাজ্জব করে দিয়েছে নিমেষেই। উত্তরপ্রদেশের ফতেহপুর জেলার সোরা গ্রামের ঘটনা। সোরা গ্রামের মালওয়া থানা এলাকার বাসিন্দা সুরেন্দ্র দ্বিবেদীর পুত্র হলেন বিকাশ দ্বিবেদী। জানা গিয়েছে, ২৪ বছর বয়সী এই তরুণকে ৪০ দিনে মোট ৭ বার সাপে কামড়েছে। আর এই ঘটনায় তিনি সহ তার পরিবার সকলেই আতঙ্কিত। তার এই ঘটনা সামনে আসার পর সকলেই অবাক হয়ে গিয়েছেন।

এই ঘটনা ঘটার পর তিনি তান্ত্রিকের কাছে যান। সাপ তাকে স্বপ্নে বলে গিয়েছে তাকে ৯ বার কামড়াবে। বিকাশ তার পরিবারের ১১ জন সদস্য নিয়ে দৌসা জেলার মেহান্দিপুর বালাজিতে ধর্মীয় স্থান পরিদর্শন গিয়েছিলেন। এই কঠিন পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য বালাজি মহারাজের কাছে প্রার্থনা করেন তারা। গত ৩০শে মে চিত্রকূট হনুমানজির দর্শন সেরে গ্রামে আসেন বিকাশ।

এরপর ২রা জুন রাত ৮টা নাগাদ শৌচাগারে যাওয়ার সময় সাপে কামড়ায় তাকে। এরপর তার পরিবার তাকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যায়। এরপর সেখানে চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে ওঠে সে। এরপর গত ৯ই জুন তাকে সাপটি আবার কামড়ায়। সাপটি নাকি তাকে স্বপ্নে সাবধান করে দিয়েছে তাকে ৯ বার কামড়াবে। ৮ বার সে বেঁচে গেলেও ৯বার আর তাকে বাঁচানো যাবে না বলোও সাবধান করেছে সাপটি।

এমন বলার পর তৃতীয় বার সাপটি কামড়ায় বিকাশকে। এরপর সেখান থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে ফতেহপুরে বিকাশকে তার মাসির কাছে দিয়ে আসা হয়। সেখানেও সাপটি তার পিছু ছাড়েনি। গত ২৩শে জুন শনিবার যখন বিকাশ ঘুমাচ্ছিলেন সেইসময় সাপটি তাকে চতুর্থ বারের জন্য কামড়ায়। এরপর বিকাশকে ফতেহপুর থেকে কাকার বাড়ি পাঠানো হয়।

বিকাশ যে ঘরে ছিলেন সেখানে বসানো হয় সিসিটিভি ক্যামেরা। অথচ এরপরেও পঞ্চম বারের জন্য সাপ বিকাশের পিছু ছাড়েনি। ৬ ও ১১ই জুলাই সাপটি কামড়ায় বিকাশকে। এদিকে বারবার সাপের কামড়ের চিকিৎসা করাতে গিয়ে নাজেহাল বিকাশের পরিবার। তার চিকিৎসার জন্য বন্ধক দেওয়া হয়েছে তার মায়ের গয়না। শেষ সমাধানের জন্য বিকাশের পরিবার হাজির হয়েছে মেহেন্দিপুর বালাজিতে। এমত অবস্থায় সরকারি সাহায্য চাইছে বিকাশের পরিবার। বিষয়টি বন দফতর ও স্বাস্থ্য দফতরের তরফে দেখভাল করা হচ্ছে।