মায়ের পূজো নিয়েও এমন হুমকি! পুজো করার জন্য দিতে হবে মোটা অংকের টাকা!

20240926 195739 i1dRbL7n85

ভারতে বাঙ্গালীদের শ্রেষ্ঠ উৎসব হলো মহাদুর্গাৎসব। আর মাত্র কয়েক দিনের অপেক্ষা তার পরেই দুর্গাপুজো। আমাদের এখানে পুজো নিয়ে সকলের কত আনন্দ, আর অন্যদিকে ওপার বাংলায় অর্থাৎ বাংলাদেশে দুর্গাপূজা নিয়ে হিন্দুরা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। বাংলাদেশের মুসলিমরা হিন্দুদের হুমকি দিচ্ছেন, সবাই ভাবছেন শেষমেষ তারা দুর্গাপূজো করতে পারবেন কিনা?

ঢাকা:- দুর্গাপুজো করা নিয়ে ঝামেলা যে বেশ ভালই হবে এটা আগে থেকেই আন্দাজ করতে পেরেছিলেন বাংলাদেশের হিন্দুরা, তবে সময় পার হওয়ার সাথে সাথে তাদের আন্দাজ ও বাস্তবে পরিণত হচ্ছে। ভারতের বাঙালিরা দুর্গাৎসবসব নিয়ে আনন্দে মেতে রয়েছে অন্যদিকে বাংলাদেশে ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে দিন কাটাচ্ছেন হিন্দুরা। পুজো করতে না দেওয়া নিয়ে তাদেরকে বারংবার থ্রেট দেওয়া হচ্ছে।

পূজো প্রায় দূর করে এই মত অবস্থায় এখনো বাংলাদেশে যেতে হবে কিনা তাই নিয়ে সরল বেঁধেই রয়েছে, অধিবাসীদের মনের ভেতর কি হবে এমন প্রশ্ন সংখ্যালঘিষ্ঠ হিন্দু শ্রেণীদের মধ্যে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন পূজা নিয়ে কোনো অসুবিধা হবে না‌ শুধু হবে শুনে তবুও যে পরিমাণ বিভিন্ন মন্দির গুলিতে অত্যাচার চলছে সেটা চোখের সামনে রেখে পুজো হবে এমনটা ঠিক মেনে নেওয়া যাচ্ছে না। মা আসছেন ৯ তারিখ এবং গমন করবেন ১৩ তারিখে। সমস্ত হিন্দু বাসীরা ভাবছেন আগের সরকার থাকাকালীন যেভাবে তারা দুর্গাপূজা অনুষ্ঠান করতে পেরেছে এবার কি হবে কিন্তু বর্তমান প্রধানমন্ত্রী তিনি বলছেন দরকার হলে মন্ডপগুলি পাহারাও দেওয়া হবে।

দেশের মধ্যে যেমন বিরোধী পার্টি থাকে ঠিক তেমনি বর্তমানে দেখা যাচ্ছে যে মুসলিম সংগঠন রা কিন্তু এই দুর্গাপুজোর না করার হুমকি দিচ্ছে যদি হয় তবে অনেক দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। এমনকি এও জানানো হয়েছে যদি তাদের ৫ লক্ষ টাকার মতো দেওয়া হয় তবেই পূজো করতে দেওয়া হবে।হিন্দু সংখ্যা লঘিষ্ঠ শ্রেণী এমনটাই জানাচ্ছেন।

এত হুমকি আসছে জানানো হচ্ছে পুলিশকে তবুও তারা প্রস্তর খন্ডের ন্যায় দর্শকের মত দাঁড়িয়ে রয়েছে। এই ঘটনাগুলি প্রধানত দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের খুলনা চট্টগ্রাম জেলাগুলিতে। অনেকটাই ভয়ানক অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে পরিস্থিতি কি হবে কিছুই বোঝা যাচ্ছে না। শুধু মুখে হুমকি নয় পত্রের মাধ্যমে আসছে থ্রেট।

প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশের যেই একতা কাউন্সিল আছে সেখান থেকে এই মত অবস্থার নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে এবং কঠিন স্টেপ নেওয়ার কথা বলা হচ্ছে।তার মধ্যে বলা হচ্ছে অনুষ্ঠান হয়েছে একটি মেলবন্ধন এর জায়গা সেখানে হামলার কোন জায়গা হবে না এই দিকে করা বার্তা জারি করা হয়েছে। এর জন্য পাঁচ থেকে ছয় জনের একটি দল গঠন করা হয়েছে পাহারা দেওয়ার উদ্দেশ্যে। কাউন্সিল যে গঠন করা হয়েছে তাদের মধ্যে অন্তর্গত ছিল হিন্দু সম্প্রদায় বৌদ্ধ সম্প্রদায় খ্রিস্টান সম্প্রদায় সমস্ত লঘু সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণ করেছিলেন এই কাউন্সিল।

আরও পড়ুন,
*সরকারি এই ব্যাঙ্কের দারুণ স্কিমে টাকা রাখলেই হবেন লক্ষ লক্ষ টাকার অধিকারী