ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই অবশেষে থামল। গত ৫ই নভেম্বর ছট পুজোর রাতেই প্রয়াত হলেন জনপ্রিয় লোকসংগীত শিল্পী সারদা সিনহা। দীর্ঘদিন ধরে ব্লাড ক্যান্সারে ভুগছিলেন তিনি। আর তাই দিল্লির এইমসে তার চিকিৎসা চলছিল। প্রধানমন্ত্রীর তরফে চিকিৎসার সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। তার মৃত্যুতে শোকগ্রস্ত সংগীত জগত। এর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী থেকে রাষ্ট্রপতি সকলেই শোকপ্রকাশ করে সামাজিক মাধ্যমে নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
২০১৮ সালে মাল্টিপল মায়লোমায় আক্রান্ত হন ৭২ বছর বয়সী সারদা সিনহা। কেরিয়ার হিসেবে তিনি সংগীতকেই বেছে নেন। পেশাদার জীবনে ভোজপুরি, মৈথিলি ও হিন্দি লোকসংগীত প্রসারের জন্য তার জনপ্রিয়তা বাড়তে শুরু করে। ২০১৮ সালে তার সংগীত জগতে অবদানের জন্য পদ্মভূষণ সম্মানে ভূষিত করা হয়। লোকসংগীতের পাশাপাশি তিনি বলিউডে হিন্দি ছবিতেও গান করেছেন।
সালমান খান ও মাধুরি দীক্ষিত অভিনীত ছবি ‘হাম আপকে হ্যায় কৌন’ ছবিতে ‘বাবুল’ গানটি গেয়েছেন সারদা সিনহা। এমন একজন কিংবদন্তির মৃত্যুতে সকলেই শোকগ্রস্ত। গানের জগতে তার সৃষ্টি ভোলার নয়। এমন একজন প্রতিভাবান ব্যক্তির মৃত্যুতে সোশ্যাল হ্যান্ডেলে শোকবার্তা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী থেকে রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “বিহার কোকিলা হিসেবে খ্যাত প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী ডা. সারদা সিনহার মৃত্যুসংবাদ অত্যন্ত দুঃখজনক। সারদা সিনহা বিহারি লোকগানের মৈথিলি, ভোজপুরি ভাষায় নিজের সুমধুর কণ্ঠের সৌজন্যে তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন। আজ ছট পূজার দিনেও তাঁর সুরেলা গানে দেশ-বিদেশে এক অলৌকিক ভক্তির আবহ তৈরি হবে। তিনি ২০১৮ সালে শিল্পকলার ক্ষেত্রে পদ্মভূষণেও ভূষিত হন। তাঁর সুরেলা গান অমর হয়ে থাকবে। আমি তার পরিবার ও ভক্তদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।”
এর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লিখেছেন, “প্রখ্যাত লোকশিল্পী সারদা সিনহার মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত। তাঁর গাওয়া মৈথিলি এবং ভোজপুরি লোকগান গত কয়েক দশক ধরে অত্যন্ত জনপ্রিয়। ছটপুজোর বিশ্বাস সংক্রান্ত সুমধুর গানগুলো চিরকাল প্রতিধ্বনিত হবে। ওঁর চলে যাওয়া সঙ্গীত জগতের এক অপূরণীয় ক্ষতি। শোকের এই মুহূর্তে শিল্পীর পরিবার ও অনুরাগীদের পাশে রয়েছি। ওঁ শান্তি!’