ইতিহাস রচনা করলো নেপালের ছাত্র সম্প্রদায়! অনলাইন ভোটিংয়ের মাধ্যমে তারা নির্বাচন করলো অন্তবর্তী প্রধানমন্ত্রী। নেপালের রাষ্ট্রপতি শপথবাক্য পাঠ করালেন নতুন প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কিকে। কেপি শর্মা অলির বিরুদ্ধে যে ব্যাপক সহিংস আন্দোলন হয়েছে তার ঠিক কয়েকদিন পরই নির্বাচিত হলেন তাদের প্রধানমন্ত্রী।
রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পাউডেলের কার্যালয়ে শপথ বাক্য পাঠ করানো হয় নতুন প্রধানমন্ত্রীকে। সুশীলা কার্কি নেপালের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করলেন। ভারতের বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের এই প্রাক্তনী-সহ আরও তিনজন প্রার্থী ছিলেন নেপাল বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের প্রাক্তন প্রধান কুলমান ঘিসিং, কাঠমান্ডুর মেয়র বলেন্দ্র শাহ এবং ধরনের মেয়র হারকা সাম্পাং।
তবে রাষ্ট্রপতি পাউডেল, সেনাপ্রধান জেনারেল অশোক রাজ সিগডেল এবং ‘জেন জি’ নামক যুব বিক্ষোভকারী প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনার পর চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হন সুশীলা দেবী। অনলাইন ভোটিংয়ের মাধ্যমে তারা তাদের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করেন। উল্লেখযোগ্য, সোশ্যাল মিডিয়া নিষেধাজ্ঞার কারণে শুরু হয়েছিল ‘জেন জি’ নামক বিক্ষোভ।
তবে এরপর তারা দুর্নীতি, স্বজনপোষণ এবং রাজনৈতিক অভিজাতদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করে। এমনকি বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন সরকারি ভবন, রাজনৈতিক নিবাস, সংসদের মতো জায়গায় আগুন ধরিয়ে দেয়। তারা প্রমাণ করে দেয় গণতন্ত্রের অধিকার রক্ষা না হলে রাতারাতি সরকার পরিবর্তন করা সম্ভব।
উল্লেখ্য, সুশীলা কার্কি ২০১৬ সালের জুলাই মাসে নেপালের প্রথম মহিলা প্রধান বিচারপতি হিসেবে ইতিহাস সৃষ্টি করেন। তবে এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যেই তার মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। আইন প্রণেতারা তার বিরুদ্ধে পক্ষপাতদুষ্ট রায়প্রদান এবং নির্বাহী এখতিয়ারের বাইরে হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ এনে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব দাখিল করে।