Zubeen Garg’s Death: জুবিনের ঘরে কার অনুমতিতে ঢুকেছিল দুই আগন্তুক? মৃত্যুর ২৪ ঘণ্টা পূর্বের ঘটনায় বাড়ছে ধোঁয়াশা

Zubeen Garg’s Death: ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছে জুবিন গার্গের (Zubeen Garg) মৃত্যু রহস্য। কীভাবে লাইফ জ্যাকেট ছাড়াই জলে নেমেছিলেন শিল্পী, সেই প্রশ্ন কিন্তু প্রথম থেকেই উঠেছে। এমনকি, গায়কের খাবারে বিষক্রিয়ার প্রসঙ্গও উঠে এসেছে। তবে এবার প্রকাশ্যে এসেছে, সিঙ্গাপুরের হোটেলে জুবিন যে ঘরে থাকতেন সেই ঘরে দুই অচেনা ব্যক্তিকে প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়েছিল। বিশেষ তদন্তকারী দল (এসআইটি) গঠিত হয়েছিল জ়ুবিনের মৃত্যুতদন্তের জন্য। সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসা এই নয়া তথ্য তাদের তদন্তেই উঠে এসেছে।

সিঙ্গাপুরের হোটেলে যে ঘরে জুবিন গার্গ (Zubeen Garg) ছিলেন সে ঘরে প্রবেশ করার জন্য চাবি ছিল তাঁর স্বয়ং গায়কের কাছে এবং তাঁর আপ্তসহায়ক সিদ্ধার্থ শর্মার কাছে। তাহলে ঐ দুই অচেনা বব্যক্তি কিভাবে প্রবেশ করলো? তাদের পরিচয় কী? যেহেতু জুবিন ও তাঁর আপ্তসহায়ক সিদ্ধার্থ শর্মার কাছে ঘরের চাবি ছিলো তাই সাধারণ ভাবেই একটি প্রশ্ন উঠে আসছে, তাহলে কী আপ্তসহায়ক সিদ্ধার্থ শর্মাই ঐ দুই আগন্তুকে গায়কের ঢোকান?

প্ৰিয় জুবিনের আপ্তসহায়ক সিদ্ধার্থ দাবি করেছেন, ঐ দুই আগন্তুককে এই অধিকার দিয়েছিলেন‘নর্থ-ইস্ট ইন্ডিয়ান ফেস্টিভ্যাল’-এর আয়োজক শ্যামকানু মাহাতো। অন্যদিকে শ্যামকানু দাবি করেছেন, সিদ্ধার্থের সাহায্যেই জুবিনের ঘরে ঢুকতে পেরেছিলেন দুই আগন্তুক। এ যেন ঢিল ছোড়া ছুড়ি খেলা করছে! জুবিনের মৃত্যুর ২৪ ঘণ্টা পূর্বে তাঁর ঘরে প্রবেশ করে দেখা করেছিলেন দুই আগন্তুক।

সিঙ্গাপুরে হওয়া ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে জুবিন গার্গের। কিন্তু গায়কের ভক্তরা ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত পাচ্ছেন। জুবিনকে জলে ডুবতে দেখেও সঙ্গীরা বাঁচানোর জন্য তড়িঘড়ি চেষ্টা করেননি। অন্য দিকে জুবিন নাকি জলে ভয় পেতেন। তাহলে কেন তিনি লাইফ জ্যাকেট ছাড়া জলে নামলেন? সেই প্রশ্ন উঠছে।

আরও পড়ুন,
Arbaaz Khan: ৫৮ বছরে ফের বাবা হলেন আরবাজ খান, পুত্র নাকি কন্যা সন্তান এলো ঘরে?

ইতিমধ্যেই সিদ্ধার্থ, শ্যামকানু, গোস্বামী ও গায়কের সহ-শিল্পী অমৃতপ্রভ মহন্ত মোট চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্ত শেখরজ্যোতি শনিবার নতুন এক অভিযোগ করেছেন। তিনি দাবি জানিয়েছেন, নৌকাবিহারের সময় জুবিনের মুখ থেকে ফেনা বের হচ্ছিল। সেটা দেখেও সিদ্ধার্থ প্রাথমিক চিকিৎসার কোনও রকম ব্যবস্থাই করেননি! উল্টে গায়ককে ঐ অবস্থায় ছেড়ে দিতে বলেন। শেখরজ্যোতি আরও জানান, নৌকোয় গায়ক এবং তাঁর সঙ্গীরা উঠেছিলেন সেখানে পানীয়ের ব্যবস্থার দায়িত্বে ছিলেন আপ্তসহায়ক সিদ্ধার্থ শর্মা।

আরও পড়ুন,
Mimi: এখনো পুজোর রেশ কাটেনি! মনখারাপি পোস্ট মিমির

error: Content is protected !!