Sudha Murthy: কর্নাটকের চলতি জাতিগত সমীক্ষা নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিলেন ইনফোসিসের প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণ মূর্তি ও তাঁর স্ত্রী, রাজ্যসভার সাংসদ সুধা মূর্তি। দু’জনেই স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা এই সমীক্ষায় অংশ নেবেন না।
কর্নাটক(Karnataka) স্টেট কমিশন ফর ব্যাকওয়ার্ড ক্লাসের উদ্যোগে চলছে এই সোশ্যাল অ্যান্ড এডুকেশনাল সার্ভে, যা সাধারণভাবে রাজ্যের জাতিগত সমীক্ষা হিসেবেই পরিচিত। এই সমীক্ষার উদ্দেশ্য রাজ্যের সমাজিক ও অর্থনৈতিক পরিসংখ্যান সংগ্রহ করা।
‘সরকারের কোনও কাজে আসবে না’
লিখিতভাবে সমীক্ষা থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহারের কথা জানিয়েছে মূর্তি পরিবার। তাঁদের বক্তব্য, তাঁরা সমাজের পিছিয়ে পড়া শ্রেণির প্রতিনিধি নন, তাই এই সমীক্ষায় অংশ নেওয়ার প্রয়োজন নেই। পাশাপাশি জানিয়েছেন, তাঁদের তথ্য দিলেও সরকারের বিশেষ কোনও উপকার হবে না। তাছাড়া ব্যক্তিগত কারণবশতও তাঁরা ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করতে চান না।
সরকারের প্রতিক্রিয়া
এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন কর্নাটকের উপ মুখ্যমন্ত্রী ডি.কে. শিবকুমার। তিনি বলেন,
“জাতিগত সমীক্ষায় অংশ নেওয়া সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাসেবী। কাউকে এতে জোর করা যায় না।”
খবর
হঠাৎ ঘোষণা! আজ সব স্কুল ছুটি – প্রবল বর্ষণে বিপর্যস্ত তামিলনাড়ু
হাইকোর্টের নির্দেশ অনুসারে, এই সমীক্ষায় অংশগ্রহণ ঐচ্ছিক। প্রশাসনকে আগেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, কোনও নাগরিক চাইলে নিজের তথ্য না দেওয়ার স্বাধীনতা তাঁর রয়েছে। কর্নাটক স্টেট কমিশন ফর ব্যাকওয়ার্ড ক্লাসের পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছিল, সংগৃহীত তথ্য গোপন রাখা হবে, তা প্রকাশ করা হবে না।
সমীক্ষার খুঁটিনাটি
২২ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছে কর্নাটকের এই সমীক্ষা। রাজ্যের প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে ৬০টি প্রশ্নের উত্তর সংগ্রহ করছেন সমীক্ষকেরা। ১৯ অক্টোবরের মধ্যে এই প্রক্রিয়া শেষ করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে, আর ডিসেম্বরের মধ্যে সরকারের হাতে জমা পড়বে চূড়ান্ত রিপোর্ট। গোটা প্রক্রিয়ায় খরচ হচ্ছে প্রায় ৬০ কোটি টাকা।
নারায়ণ মূর্তি ও সুধা মূর্তির এই সিদ্ধান্তকে ঘিরে রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে আলোচনা— সমাজের শ্রেণি ও পরিচয়-নির্ভর পরিসংখ্যান সংগ্রহের প্রয়াসে এই ধরনের পদক্ষেপ ভবিষ্যতে কী প্রভাব ফেলবে, তা নিয়েই এখন চর্চা তুঙ্গে।
#Karnataka #Infosys #CasteCensus