গত ২৫শে অক্টোবর ৭৪ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন বলিউডের হাসির রাজা সতীশ শাহ। তার মৃত্যুতে ম্রিয়মাণ বলিউড। তিনি তার জীবদ্দশায় ১০০টিরও বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন। তার মধ্যে অন্যতম হলো ‘ম্যায় হুঁ না’। ছবিতে সতীশ শাহ-এর চরিত্রটি ছিল বেশ গুরুত্বপূর্ণ। যদিও কলেজ প্রফেসরের চরিত্রে অভিনয় করতে প্রথমে রাজি হননি সতীশ শাহ। আর তাকে রাজি করিয়েছিলেন শাহরুখ খান। অবশেষে শাহরুখের কথা মেনে নিয়ে ছবিতে ওই চরিত্রে অভিনয় করেন সতীশ শাহ।
এই ছবিতে সতীশ শাহ-এর চরিত্রটিতে বিশেষ বৈশিষ্ট্য ছিল, কথা বলার সময় তার মুখ থেকে থুতু ছিটে বেরোতো। আর তার ফলে সামনে থাকা মানুষটি প্রায় ভিজে যাওয়ার জোগাড় হতো। আর এই কারণে প্রথমে চরিত্রটিতে অভিনয় করতে চাননি তিনি। সিনেমা অনুযায়ী তার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলা এড়িয়ে চলতেন সকলে। আর এই কারণে তিনি যখন শাহরুখ খানের সামনে দাঁড়িয়ে সিনেমায় অভিনয়টি করতেন সেইসময় শাহরুখ ভিজে যেতেন। আর তাই চরিত্রটিতে অভিনয় করা আরও কঠিন ছিল সতীশ শাহের জন্য।
একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ওই ছবিতে বোমান ইরানি যে চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন, সেই চরিত্রটি পছন্দ ছিল সতীশের। কিন্তু শাহরুখ তাকে বলেন, এমন চরিত্রে সকলেই অভিনয় করতে পারেন, কিন্তু এই বিশেষ চরিত্রে সতীশ শাহ ছাড়া কেউ অভিনয় করতে পারবেন না। আর এরপর শাহরুখ খান ও ফারা খানের জোরাজুরিতে অবশেষে রাজি হন সতীশ শাহ। সতীশ কীভাবে ওই চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তাও ব্যাখ্যা করেছেন।

তিনি বলেন, তিনি মুখে সামান্য জল ভরে রাখতেন এবং এমনভাবে কথা বলতেন যাতে মুখ থেকে থুতু ছিটবে। কিন্তু তার পক্ষে কঠিন ছিল সুপারস্টার শাহরুখ খানের মুখে থুতু দেওয়ার দৃশ্যে অভিনয় করা। সেটে অভিনয় করার সময় তিনি যখনই সংলাপ বলতেন, শাহরুখ হেসে দিতেন ও তারপর ফের রি-শ্যুট হতো। আর তাই আরও কঠিন হয়ে গিয়েছিল চরিত্রটিতে অভিনয় করা। অবশেষে এভাবেই শেষ হয় ওই ছবির শ্যুটিং।
বিনোদন
Mimi: ডায়েট ভুলে বার্গার, আইসক্রিম, ডেজার্টে মনোনিবেশ মিমির! দেখে চোখ কপালে নেটিজেনদের