Sheikh Hasina: শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডে তীব্র প্রতিক্রিয়া, বাড়ল কূটনৈতিক চাপ

Sheikh Hasina: ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল–১ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেছে। দেশের ইতিহাসে এই প্রথম কোনও নারী নেত্রীর বিরুদ্ধে এত কঠোর শাস্তি নির্দেশ দিল আদালত। রায় ঘোষণার সময় হাসিনা বাংলাদেশে না থাকলেও, দিল্লিতে বসেই তিনি আদালতের রায়কে “পক্ষপাতদুষ্ট ও অনির্বাচিত সরকারের প্রভাবে পরিচালিত” বলে কড়া প্রতিক্রিয়া জানান।

রায়ের কয়েক ঘণ্টা আগেই সামাজিক মাধ্যমে হাসিনা লিখেছিলেন, এ ধরনের সিদ্ধান্ত তাঁকে বিচলিত করে না, কারণ “জীবন-মৃত্যু নির্ধারণ করেন আল্লাহ।” বিচার প্রক্রিয়াকে তিনি “গণতান্ত্রিক আদর্শবর্জিত ও আন্তর্জাতিক মানদণ্ডবহির্ভূত” বলে অভিহিত করেন। তাঁর অভিযোগ, তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণে গ্রহণযোগ্য সাক্ষ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়নি। হাসিনার দাবি, “ন্যায্য বিচার নিশ্চিত হলে যে কোনও আদালতের মুখোমুখি হতে আমি প্রস্তুত।”

একই মামলায় প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকেও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, রায় ঘোষণার সময় কামালও দেশে অনুপস্থিত ছিলেন। এদিকে বাংলাদেশের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল জানিয়েছেন, ভারত সরকারের কাছে হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়ার আবেদন আবারও পাঠানো হতে পারে। রাজনৈতিক মহলের মতে, রায়ের পর দুই দেশের কূটনৈতিক আলোচনায় নতুন মাত্রা যোগ হওয়া সময়ের ব্যাপার।

সোমবারের রায়ের দিন আদালতে চরম নিরাপত্তা

জুলাইয়ের রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রেক্ষিতে হাসিনা, কামাল এবং প্রাক্তন আইজিপি মামুনসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনাল গত জুলাই থেকেই বিচার প্রক্রিয়া শুরু করেছিল। সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার পর ট্রাইব্যুনাল–১–এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ রায় পড়া শুরু করেন। বেঞ্চের অন্য দুই বিচারপতি হলেন মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

প্রসিকিউশন জানিয়েছে, শেখ হাসিনা ও কামাল পলাতক। তবে প্রায় এক বছর ধরে কারাগারে থাকা প্রাক্তন আইজিপি মামুনকে সেদিন সকালেই কঠোর নিরাপত্তায় আদালতে হাজির করা হয়। তাঁকে হাজতখানায় ঢোকার সময় ক্লান্ত ও বিষণ্ণ দেখায়। মামুন এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের অন্যতম প্রধান রাজসাক্ষী।

দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়ার পর রায়

ট্রাইব্যুনাল ১৩ নভেম্বর রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করে। মোট ২৮ কার্যদিবসে ৫৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন হয়। এরপর টানা ৯ দিন চলে যুক্তি ও পাল্টা যুক্তি। ২৩ অক্টোবর অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান তাঁর চূড়ান্ত বক্তব্য পেশ করেন। পরে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এবং রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন তাঁদের বক্তব্য উপস্থাপন করলে রায় প্রস্তুতির কাজ শুরু হয়।

ট্রাইব্যুনালের রায় ঘোষণার পর দেশের রাজনীতিতে নতুন উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, পরবর্তী কূটনৈতিক সিদ্ধান্তগুলোই এবার দুই দেশের ভবিষ্যৎ সম্পর্ক নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে।

FAQ

১. শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করা হয়েছে?

ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল–১ মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেছে।

২. রায় ঘোষণার সময় শেখ হাসিনা কোথায় ছিলেন?

রায় ঘোষণার সময় শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ছিলেন না; তিনি ভারতে অবস্থান করছিলেন।

৩. রায় সম্পর্কে শেখ হাসিনা কী প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন?

তিনি রায়কে “পক্ষপাতদুষ্ট ও অনির্বাচিত সরকারের প্রভাবে পরিচালিত” বলে দাবি করেন এবং বলেন বিচার প্রক্রিয়া আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মানেনি।

৪. একই মামলায় আর কে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন?

প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালও একই মামলায় মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন।

৫. রায়ের পর কী কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে?

বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ভারতের কাছে শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে নতুন করে আবেদন পাঠানো হতে পারে, যা দুই দেশের কূটনৈতিক আলোচনায় নতুন মাত্রা আনতে পারে।

#SheikhHasina
#BangladeshPolitics

শুধু হজম শক্তি বাড়িয়ে দেয় না, জোয়ান খেলে শরীরের অনেক সমস্যা নিবারণ হয় মুখরোচক বাদাম চিক্কি খেতে দারুন, বাড়িতেই তৈরী হবে, জানুন রেসিপি এইভাবে তেজপাতা পোড়ালে দুশ্চিন্তা কেটে যাবে 5 Best Night Creams ৪ মাসের শিশু ২৪০ কোটির মালিক