ডিম একটি সাশ্রয়ী সুপারফুড। এতে রয়েছে উচ্চমানের প্রোটিন, প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজ পদার্থ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় মাত্র দুইটি ডিম যুক্ত করলেই দুই সপ্তাহের মধ্যে শরীরের বিভিন্ন অংশে ইতিবাচক পরিবর্তন চোখে পড়তে শুরু করে। পেশী শক্তি বাড়ানো থেকে শুরু করে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা উন্নতি—সব ক্ষেত্রেই ডিম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
পেশী শক্তি বাড়ায় ও ক্লান্তি কমায়
ডিমের প্রোটিন ‘কমপ্লিট প্রোটিন’, অর্থাৎ এতে রয়েছে সব প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড। নিয়মিত দুই সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন ২টি ডিম খেলে—
*পেশী আরও শক্তিশালী হয়
*ব্যায়ামের পর দ্রুত রিকভারি হয়
*ক্লান্তি, দুর্বলতা ও অবসাদ কমে
শরীর সক্রিয় রাখতে এবং দৈনন্দিন কাজে শক্তি জোগাতে ডিমের ভূমিকা অপরিসীম।
মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ও স্মৃতিশক্তি বাড়ায়
ডিমের কুসুমে থাকা কোলিন মস্তিষ্কের জন্য অত্যন্ত জরুরি। এটি স্নায়ুর কোষকে সুরক্ষা দেয় এবং স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
নিয়মিত ডিম খেলে—
*মনোযোগ বাড়ে
*ব্রেইন ফাংশন উন্নত হয়
*মুড ও মানসিক স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি পায়
শিশু থেকে বয়স্ক—সব বয়সের মানুষের জন্যই কোলিন সমৃদ্ধ খাবার হিসেবে ডিম খুবই উপকারী।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে
ডিমে রয়েছে ভিটামিন ডি, বি৬, বি১২, সেলেনিয়াম, জিঙ্কসহ নানা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। দুই সপ্তাহ প্রতিদিন ডিম খেলে—
*শরীরের ইনফেকশন প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে
*ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধে শরীর আরও কার্যকর হয়
*সার্বিক ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী হয়ে ওঠে
শীতকালসহ সারা বছর রোগ প্রতিরোধে ডিম একটি চমৎকার খাবার।
ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করে
ডিমে থাকা ভিটামিন এ, ই, বায়োটিন ও প্রোটিন ত্বক ও চুলের সৌন্দর্য বজায় রাখতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
প্রতিদিন দুইটি ডিম খেলে—
ত্বক স্বাভাবিকভাবে উজ্জ্বল ও টাইট থাকে
চুল ঘন ও শক্তিশালী হয়
শুষ্কতা, ব্রণ বা চুল ভাঙার সমস্যা কমে
সৌন্দর্যচর্চায় প্রাকৃতিক সহায়ক খাবার হিসেবেও ডিম খুব কার্যকর।
ওজন কমাতে সাহায্য করে
ডিম উচ্চ প্রোটিন এবং কম ক্যালোরিযুক্ত হওয়ায় এটি দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে। ফলে—
*অযথা খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে
*ক্যালোরি নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়
*শরীরের মেদ কমতে সাহায্য করে
*ওজন কমানোর ডায়েট লিস্টে ডিম তাই একটি আদর্শ খাবার।
তাহলে প্রতিদিন কতটি ডিম খাওয়া উচিত?
ব্যক্তির বয়স, কার্যপরিকল্পনা ও স্বাস্থ্য পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে প্রতিদিন ডিম খাওয়ার পরিমাণ ভিন্ন হতে পারে। তবে সাধারণভাবে—
👉 প্রতিদিন ১–২টি ডিম বেশিরভাগ মানুষের জন্য নিরাপদ ও উপকারী।
বিশেষ স্বাস্থ্য সমস্যা থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ প্রয়োজন।
আরও পড়ুন
শীতের সময়ে বাড়ছে ইউরিক অ্যাসিডের ব্যথা? খাদ্যতালিকা বদলেই মিলবে উপশম
