কলেজ জীবনে নিয়মিত এক রেস্তোরাঁয় খেতে যেতেন তিনি। আর বর্তমানে যখন তিনি ভারতের অন্যতম ধনী শিল্পপতি এখনো সেই রেস্তোরাঁর খাবারের স্বাদ ভোলেননি। মুম্বাইয়ে থাকলে সপ্তাহে অন্তত একবার সেখানে পৌঁছে যান। হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন আজ আমরা কথা বলছি মুকেশ আম্বানির সম্পর্কে।
কিছুদিন আগেই গুজরাটের জামনগরে তার ছোট ছেলে অনন্ত আম্বানি এবং রাধিকা মার্চেন্টের প্রাক-বিবাহ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। পরিবারের সকল সদস্যরাই খাবার পরিবেশন করেছেন অতিথিদের। তারই মাঝে একটি ছবিতে দেখা যায় মির্চি ভাজির স্বাদ নিচ্ছেন মুকেশ আম্বানি।
অনেকেই জানেন তিনি একসময় ভোজনরসিক ছিলেন। যদিও বর্তমানে খাবারের প্রতি সচেতনতা বেড়েছে, তবুও সময় পেলে নিজের প্রিয় রেস্তোরাঁয় যেতে ভোলেন না তিনি। ১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত ‘ক্যাফে মাইশোর’ নামক একটি দক্ষিণ ভারতীয় রেস্তোরাঁয় নিয়মিত যেতেন তিনি।
যখন তিনি কলেজে পড়তেন তখন তার প্রিয় খাবারের মধ্যে ছিল ইডলি এবং ধোসা। এখনো যদি তিনি মুম্বাইয়ে থাকেন অন্তত সপ্তাহে একবার তিনি ওই রেস্তোরাঁয় যান। রেস্তোরাঁর তরফ থেকে জানানো হয়েছে মুম্বাইতে যতগুলো দক্ষিণ ভারতীয় রেস্তোরাঁ রয়েছে তাদের মধ্যে সবথেকে পুরনো হলো সেটি।
এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১৯৩৬ সালে। আর যার প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন নাগেশ রাম নায়ক। এখানে মোট ৮১ ধরনের ধোসা পাওয়া যায়। বুধবার বাদে সপ্তাহের প্রত্যেকদিন সকাল আটটা থেকে দশটা পর্যন্ত খোলা থাকে এই রেস্তোরাঁ। আর এখানকার বিশেষত্ব হলো কেউ যদি গাড়িতে বসে খাবার খেতে চান তাহলে তাকে সেখানেই পরিবেশন করা হয়।