বৃহস্পতিবার অভিনেত্রী শিল্পা শেট্টির স্বামী ব্যবসায়ী রাজ কুন্দ্রার ৯৮ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করলো এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। যার মধ্যে রয়েছে অভিনেত্রীর জুহুর ফ্ল্যাটও। সম্প্রতি মুম্বাই জোনাল অফিসের তরফ থেকে রাজের সমস্ত স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
যার মধ্যে রয়েছে পুনের বাংলো, ইক্যুইটি শেয়ার এবং তাদের বাসস্থান ফ্ল্যাটটিও। এর আগে ‘মেসার্স ভ্যারিয়েবল টেক পিটিই লিমিটেড’, প্রয়াত অমিত ভরদ্বাজ, বিবেক ভরদ্বাজ, অজয় ভরদ্বাজ, মহেন্দ্র ভরদ্বাজ, সিম্পি ভরদ্বাজ এবং ‘এমএলএম’ এজেন্টের বিরুদ্ধে মহারাষ্ট্র পুলিশ ও দিল্লী পুলিশের কাছে নথিভুক্ত হয়েছিল একাধিক এফআইআর। তার ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু করেছিল ইডি।
এই অভিযোগে বলা হয় তারা বিটকয়েনের আকারে ১০% মাসিক রিটার্ন দেওয়ার মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। যার দ্বারা ২০১৭ সালে ৬,৬০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছিল। যেগুলি মূলত মাইনিংয়ের জন্য ব্যবহার করে বিনিয়োগকারীদের বড়ো অংকের একটি রিটার্ন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।
তবে যারা প্রোমোটার তারা বিনিয়োগকারীদের সাথে প্রতারণা করে এবং বিটকয়েনগুলি লুকিয়ে রাখে। ইডির তদন্তে জানা গিয়েছে রাজ কুন্দ্রা অমিত ভরদ্বাজের কাছ থেকে মোট ২৮৫টি বিটকয়েন পেয়েছিলেন। ইউক্রেনে বিটকয়েন মাইনিং ফার্ম স্থাপনের মাস্টারমাইন্ড এবং গেইন বিটকয়েন পঞ্জি কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন অমিত ভরদ্বাজ।
বিনিয়োগকারীদের প্রতারণা করে বিটকয়েন সংগ্রহ করার পর সেই চুক্তি বাস্তবায়িত হয়নি। ফলস্বরূপ রাজ কুন্দ্রার কাছে এখনো ২৮৫ টি বিটকয়েন রয়েছে যার মূল্য ১৫০ কোটি টাকারও বেশি। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে একাধিক তদন্ত চালানো হয়েছে এবং সিম্পি ভরদ্বাজ, নিতিন গৌর ও নিখিল মহাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বর্তমানে তারা বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন। যদিও এই ঘটনার মূল মহেন্দ্র ভরদ্বাজ এবং অজয় ভরদ্বাজ এখনও পলাতক। ইতিমধ্যেই ইডি তাদের ৬৯ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে।
আরও পড়ুন,
*একই গোয়ালে লাইন দিয়ে দুধ কিনতেন জয়া বাচ্চানের দাদু, তাপস পাল
*মেয়েদের শরীরে এই লক্ষণ থাকলে প্রেমে ভীষণ চতুর! কি জানাচ্ছে সমুদ্র শাস্ত্র