৪৬ বছর পর খুললো পুরী জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভাণ্ডারের দরজা! কী কী আছে?

kmc 20240715 195647

দীর্ঘ ৪৬ বছর পর খুললো পুরী জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভাণ্ডারের দরজা! যদিও সেখানে যারা প্রবেশ করেছিলেন তারা এই বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ সেখানে কী কী রত্ন রয়েছে সেই বিষয়ে। তবে তারা মুখ না খুললেও পুরনো একটি গ্যাজেটে যাবতীয় রত্নভাণ্ডার সম্পর্কে তথ্য মিলেছে।

গত রবিবার ৮০০ বছরের এই পুরনো মন্দিরের রত্নভাণ্ডার থেকে বহু অলংকার ও রত্ন সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে মন্দির চত্বরে তৈরি অস্থায়ী প্রকোষ্ঠে। রত্নভাণ্ডারের ভেতরে মূলত দুটি প্রকোষ্ঠ বা রত্ন কক্ষ রয়েছে। দুটি কক্ষের ভেতরে রয়েছে জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রার অলংকার।

1720971502 new project 2024 07 14t210816 3832

বাইরের কক্ষ থেকে অলংকার অস্থায়ী ভল্টে রাখা হলেও ভেতরের কক্ষের কিছুই বার করে আনা যায়নি। মন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে সময় পেরিয়ে যাওয়ার কারণে কাজ বন্ধ করতে হয়েছে। তবে তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করা গিয়েছে। সেখানে কবে কাজ হবে তা পরে জানিয়ে দেওয়া হবে।

1720322014 jagannath22

এরপর সকলের মনের প্রশ্ন জাগে রত্নভাণ্ডার থেকে কী কী পাওয়া গিয়েছে? যদিও ১১ সদস্যের যে দল প্রবেশ করেছিলেন তারা এই বিষয়ে কোনো তথ্য প্রকাশ করেননি। তবে ২০১১ সালের জুলাই মাসে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ওড়িশার রাজা অনঙ্গভীমদেব জগন্নাথদেবের অলংকার তৈরির জন্য প্রায় ১,৫০০ কেজি সোনা দিয়েছিলেন।

1720971229 new project 2024 07 14t201107 4712

সেই সমস্ত সোনা এই রত্নভাণ্ডারেই থাকার কথা। ওই প্রতিবেদন থেকে আরো যেসব তথ্য জানা গিয়েছে তার নিম্নরূপ হলো এই-

রয়েছে ১.৫ কেজি ওজনের জগন্নাথের একটি সোনার মুকুট এবং তিনটি সোনার হরিদকণ্ঠী মালা। জগন্নাথ এবং বলরামের সোনার তৈরি শ্রীভুজ বা সোনার হাত, সোনার পা। ৭৪টি সোনার গহনা। সোনা, হীরে, প্রবাল, মুক্তো দিয়ে তৈরি ‘প্লেট’। ১৪০টি ভারী রূপোর গহনা।

সোনার তৈরি ময়ূরের পালক। কপালে পরার সোনার পট্টি বা চালুপাটি। জগন্নাথের সোনার কানের দুল শ্রীকুণ্ডল। সোনার কদম্ব মালা, সোনার চক্র, গদা, পদ্ম এবং শঙ্খ। রত্নখচিত সোনার দুটি তৃতীয় নয়ন। সোনার পাতের তৈরি একটি চোখের মাঝে রয়েছে হীরে ও অন্যটির মাঝে বসানো পান্না।