রামলালার সোনার মুকুট ১১ কোটির! অম্বানী নন, দান করলেন গুজরাতের অন্য এক শিল্পপতি

রামলালার সোনার মুকুট ১১ কোটির! অম্বানী নন, দান করলেন গুজরাতের অন্য এক শিল্পপতি

গত ২২শে জানুয়ারি প্রাণ প্রতিষ্ঠা হলো রাম মন্দিরের রাম লালার। দীর্ঘ কয়েক শতক পর রাম ফিরল তার জন্মভূমি অযোধ্যায়। আর তাই গোটা দেশ জুড়ে পালিত হল অকাল দীপাবলি। সকলের মনেই খুশির হাওয়া। রাম মন্দির প্রতিষ্ঠা হওয়ার জন্য গোটা অযোধ্যা জুড়ে চলছিল তোড়জোড়। তেমনই রাম লালার মূর্তি ও তার গয়না নিয়ে বেশ উন্মাদনা ছিল। ৫১ ইঞ্চির রাম লালার মূর্তি ঘিরে সকলেই বেশ উৎসুক ছিলেন। রাম লালার এই অনুষ্ঠানে সবসময় গোটা দেশের মানুষের নজর ছিল। তবে সবথেকে বেশি নজর কেড়েছে রাম লালার মুকুট। আর এই মুকুটটি একজন শিল্পপতি দান করেছেন। তিনি মুকেশ আম্বানি। তিনি গুজরাটের শিল্পপতি।

রাম লালার মুকুট

রাম লালার মুকুট

জানা যাচ্ছে, রাম লালার এই মুকুটটির ওজন ছয় কিলোগ্রাম। এটি তৈরি করতে খরচ হয়েছে ১১ কোটি টাকা। এই মুকুটে রয়েছে হিরে, চুনি, পান্না, রুবি সহ নানান দামি পাথর এবং সোনা। বহুমূল্য রত্ন দিয়ে তৈরি করা হয়েছে এই মুকুট। মুকুটটি উত্তর ভারতীয় ধাঁচে তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া মুকুটের মাঝখানে লাল রঙের রত্ন রয়েছে যা সূর্য দেবের প্রতীক। মুকুটে দেওয়া হয়েছে ৪ কিলোগ্রাম সোনা এবং বাকি ২ কিলোগ্রাম বিভিন্ন বহুমূল্য রত্ন।

আরও পড়ুন,
*‘রাম সবার’! গোঁড়ামি কাটিয়ে কি নতুন রাজনৈতিক ভাষ্য নরেন্দ্র মোদীর?
*সুশান্ত সিং রাজপুতের নাম ভাঙিয়ে ‘বিগ বস্’ জেতার ফন্দি, প্রশ্নের মুখে পড়ে সত্য বললেন অঙ্কিতা

তবে রাম লালার মাথায় শুধু সোনার মুকুট নয়, গোটা দেহ জুড়ে রয়েছে নানান নামি-দামি পাথর বসানো গয়না। জানা যাচ্ছে, রাম লালার মুকুট যাতে সঠিকভাবে তৈরি হয় তার জন্য গত ৫ই জানুয়ারি ওই ব্যবসায়ী তার সংস্থার দু’জন কর্মচারীকে অযোধ্যায় পাঠান মূর্তিটি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নেওয়ার জন্য। জানা যাচ্ছে, মুকেশ ‘গ্রিনল্যাব ডায়মন্ড’ সংস্থার মালিক। মূর্তি ভালোভাবে দেখেশুনে তবে মুকুট তৈরি করেন তিনি। এরপর উদ্বোধনের দিন স্ত্রী ও পুত্রকে নিয়ে হাজির হন অযোধ্যায় এবং শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সদস্যদের হাতে সোনার মুকুট তুলে দেন তিনি।

রাম লালা

রাম লালা

সোনার মুকুটের সঙ্গে মানানসই করে রয়েছে রাম লালার কানের দুল। তাতে বসানো রয়েছে হিরে, চুনি, পান্না। প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিন রাম লালার পরনে ছিল হলুদ রঙের বস্ত্র। এছাড়া গায়ে ছিল পট্টবস্ত্র। পট্টবস্ত্রে সোনার জরি দিয়ে কাজ করা ছিল। তাতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে শঙ্খ, চক্র, পদ্ম, ময়ূর। এটি তৈরি করেছে দিল্লির একটি সংস্থা। মূর্তির গলায় রয়েছে অর্ধচন্দ্রাকৃতি কন্ঠহার। তাতে রয়েছে ফুলের নকশা ও মাঝে সূর্য। এছাড়া হারে রয়েছে অসংখ্য দামি পাথর এবং নীচে ঝুলছে পান্না।

রাম লালার মন্দির

বিগ্রহের হৃদয়ের কাছে ঝুলছে কৌস্তুভ মণি। কন্ঠ ও নাভির মাঝে ঝুলছে পাঁচনলি হার। তাতে বসানো রয়েছে হিরে ও পান্না। গলার সবচেয়ে বড় মালাটি বৈজয়ন্তী মালা। যাতে রয়েছে অসংখ্য হিরে, পান্না,। এছাড়া খোদাই করা রয়েছে শঙ্খ, সুদর্শন চক্র, পদ্ম, মঙ্গল কলস। হাতে রয়েছে ভুজবন্ধ এবং আঙুলে বিশাল আংটি। তাতে রয়েছে বড় বড় মুক্ত। পায়ে সোনার তৈরি পঞ্জনিয়া। তাতে সোনা ও চুনি রয়েছে। ডান হাতে সোনার তীর রয়েছে। পায়ে রয়েছে সোনার পদ্ম। রাম লালার যে মূর্তিটি রাখা হয়েছে মন্দিরে সেটি একটু শিশুর রূপ বহন করে। তাই মূর্তির সামনে রয়েছে নানান রূপোর পুতুল ও সোনার ছাতা।

আরও পড়ুন,
*রামলালার ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’ অনুষ্ঠানে অতিষ্ঠ ক্যাটরিনা, একই ছবিতে প্রাক্তন প্রেমিক ও বর্তমান স্বামী!
*কান্নাকাটির পুরোটাই অভিনয়! নিজের বিয়েতে বাবার ‘মজাদার তথ্য’ ফাঁস করেছেন করলেন আমির-কন্যা