Agni 5 Missile: সম্প্রতি এপিজে আবদুল কালাম দ্বীপ থেকে পরীক্ষা করা হয়েছে অগ্নি-৫ মিসাইল। যা চিন্তায় ফেলেছে শত্রু দেশকে। তবে আপনি কি জানেন এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি মিসাইলের নেপথ্যে কে বা কারা রয়েছেন? সেই তথ্যই আজ আমরা তুলে ধরবো এই প্রতিবেদনে। হয়তো অনেকেই নাম শুনেছেন ৫৭ বছর বয়সী মিসাইল বিশেষজ্ঞ শিনা রানীর।
বর্তমানে তিনি ‘ডিআরডিও’র ‘অ্যাডভান্সড সিস্টেমস ল্যাবরেটরি’র প্রোগ্রাম ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সম্প্রতি সফলভাবে যে অগ্নি মিসাইলটি পরীক্ষা করা হয়েছে সেখানে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। গত ৮ বছর ধরে তিনি চাকরি করেছেন ‘বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টার’এ।
১৯৯৮ সালে পোখরানে যখন পারমাণবিক পরীক্ষা করা হয়েছিল তখন তিনি যোগদান করেন ডিআরডিও’তে। তারপর থেকে তিনি নিয়মিত অগ্নি মিসাইল কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করেছেন। তার এই দীর্ঘ কর্মজীবনে অগ্নি-৫ মিসাইল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছেন তিনি। ডিআরডিও’তে একাধিক নারী বিজ্ঞানী রয়েছেন তাদের নেতৃত্বের দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
একটি সংবাদমাধ্যমে তিনি জানিয়েছেন, ‘এই অগ্নি মিসাইলের দায়িত্ব থাকতে পেরে নিজেকে গর্বিত অনুভব করছি। এটি আমাদের দেশের সীমান্তকে অনেক বেশি সুরক্ষিত করে তুলবে।’ তবে তার এই যাত্রা মোটেই সহজ ছিল না। ছোটো থেকে লড়াই করে বড়ো হতে হয়েছে তাকে। তিনি যখন দশম শ্রেণীতে পড়তেন তখনই তার বাবা মারা যান।
এরপর তার মা তাকে একাই বড়ো করে তোলেন। ত্রিবান্দমের একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে তিনি ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেছেন। পাশাপাশি এও জানিয়েছেন তার এবং তার বোনের জীবনে মায়ের অবদান কোনোদিনও ভুলার নয়। জানা গিয়েছে অগ্নি মিসাইল উৎক্ষেপণ করার আগে সব ঠিকঠাক রয়েছে কিনা তাই পরীক্ষার দায়িত্বে ছিলেন তিনি।