রাষ্ট্রপতির কথায় জোর বিতর্ক পড়শি দেশে, পদ থেকে সরানোর হুমকি

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হয়েছে। হাসিনা দেশ ছেড়েছেন তিন মাস কেটে গিয়েছে। এরই মাঝে নতুন করে একটি জল্পনা শুরু হয়েছে। এবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিনের মন্তব্য অস্বস্তি তৈরি করেছে। এক নতুন ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। যেখানে বলা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইস্তফা দিয়েছিলেন কিনা তা স্পষ্ট নয়। এক সাক্ষাৎকারে সেই দেশের রাষ্ট্রপতি জানিয়েছেন, হাসিনার পদত্যাগের কোনো প্রামাণ্যনথি তার কাছে নেই।

রাষ্ট্রপতির এমন মন্তব্য স্বাভাবিকভাবেই অন্তর্বর্তী সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলেছে। আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের অভিযোগ রাষ্ট্রপতি ‘মিত্যাচার’ করছেন। হাসিনা দেশ ছেড়েছেন তিন মাস সময় অতিক্রান্ত হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের সম্মতিক্রমে দেশে তৈরি হয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সেই সরকার তৈরির দুই মাসেরও বেশি পার হয়ে গিয়েছে। এত সময় পরে দেশের রাষ্ট্রপতির এমন মন্তব্যকে আইন উপদেষ্টা ‘স্ববিরোধী’ বলে কটাক্ষ করেছেন।

এই বিষয়ে আসিফ বলেন, “বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী যদি আপনার শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতা না থাকে, বা যদি কোনও গুরুতর অসদাচারণ করেন, সে ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি পদে আপনি থাকতে পারেন কি না, তা বিবেচনা করে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।” রাষ্ট্রপতির বক্তব্যকে স্ববিরোধী বলার কারণ হিসেবে জানা গিয়েছে, গত ৫ই আগস্ট রাষ্ট্রপতির ভাষন। তিনি জানিয়েছিলেন, হাসিনা তার কাছে পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন।

কিন্তু ঘটনার তিন মাস পর তিনি বলছেন, হাসিনা পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন সেটি তিনি শুনেছেন। তার কাছে হাসিনার পদত্যাগ পত্রের কোনো নথি নেই। তিনি কেবল শুনেছেন হাসিনা পদত্যাগ করেছেন। তবে এই বিষয়ে রাষ্ট্রপতির বাসভবন ‘বঙ্গভবন’ থেকে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ পত্রের প্রসঙ্গটি সম্পর্কে ভুয়ো তথ্য ছড়ানো হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।

তবে এই বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক থামছে না। যদিও বিষয়টি নিয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করতে দেখা যায়নি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। কোনো সোশ্যাল হ্যান্ডেলে এই বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি মুহাম্মদ ইউনূস। বাংলাদেশের পত্রিকা ‘প্রথম আলো’-এর মাধ্যমে জানা যাচ্ছে, রাষ্ট্রপতির মন্তব্য নিয়ে আলোচনা হতে পারে।

error: Content is protected !!