বঙ্গের এসআইআর প্রক্রিয়া শেষ, বাদ পড়ছেন কত ভোটার?

পশ্চিমবঙ্গে বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) প্রক্রিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ধাপ শেষ হল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে। এনুমারেশন ফর্ম পূরণ, জমা এবং ডিজিটাল আপলোডের কাজ বৃহস্পতিবার রাত ১২টা বাজতেই বন্ধ হয়ে যায়। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী, ওই সময়ের পর আর কোনও তথ্য সংশোধন বা জমা নেওয়া হয়নি।

এদিন বিকেল পর্যন্ত পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন রাজ্যের খসড়া ভোটার তালিকায় ব্যাপক বাদ পড়ার সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিয়েছে। প্রাথমিক হিসাবে উঠে এসেছে, রাজ্যে ৫৮ লক্ষ ৮ হাজার ২৩২ জন ভোটারের নাম খসড়া তালিকা থেকে বাদ পড়তে চলেছে। কমিশন জানিয়েছে, চূড়ান্ত অঙ্কে সামান্য হেরফের হতে পারে। খসড়া তালিকা প্রকাশিত হবে ১৬ ডিসেম্বর।

কোন কোন কারণে বাদ পড়ছেন ভোটাররা?
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী ৫৮ লক্ষের সম্ভাব্য বাদ পড়া ভোটারের মধ্যে বিভাগভিত্তিক পরিসংখ্যান হলো—

মৃত ভোটার: ২৪,১৮,৬৯৯
নিখোঁজ: ১২,০১,৪৬২
স্থানান্তরিত: ১৯,৯৩,০৮৭
ডুপ্লিকেট ভোটার: ১,৩৭,৪৭৫
অন্যান্য কারণে: ৫৭,৫০৯

এই হিসাব কমিশনের কাছে জমা হওয়া ফর্ম ও ম্যাপিং তথ্যের ভিত্তিতে প্রস্তুত হয়েছে।

ম্যাপিং পরিসংখ্যানে কী পাওয়া গেল?
এবারের এসআইআর প্রক্রিয়ায় মেধাভিত্তিক যাচাইয়ের জন্য ‘প্রোজেনি ম্যাপিং’ এবং ‘সেলফ ম্যাপিং’ ছিল গুরুত্বপূর্ণ।

প্রোজেনি ম্যাপিং: ৫০.১৮%
সেলফ ম্যাপিং: ৩৮.৩৩%

অর্থাৎ, অর্ধেকের বেশি মানুষ বাবা-মা বা পূর্ব প্রজন্মের নথির ভিত্তিতে নিজেদের ম্যাপিং করেছেন।

বড় চ্যালেঞ্জ—৩০ লক্ষ নন-ম্যাপিং ভোটার
সবচেয়ে বড় উদ্বেগের জায়গা হলো ৩০ লক্ষ ভোটার, যাঁদের নিজেদের বা পরিবারের কেউই ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নেই। ফলে তাঁরা ‘নন-ম্যাপিং’ শ্রেণিতে পড়েছেন।

কমিশন জানিয়েছে—
এই ৩০ লক্ষ মানুষের প্রায় সকলকেই শুনানিতে ডাকা হবে, তাঁদের নথি যাচাই করে ঠিক করা হবে তাঁরা ভোটার হিসেবে বৈধ কিনা।

শুনানির সময় ভোটারদের—
বয়স
ঠিকানা
নাগরিকত্ব
পুরনো নথি
পরিবারভিত্তিক ভোটার তথ্য
সবকিছু মিলিয়ে যাচাই করা হবে।

চূড়ান্ত তালিকা কবে আসবে?
এনুমারেশন ফর্মে যাঁদের তথ্য ভুল পাওয়া যাবে, তাঁদের সংশোধনের সময় দেওয়া হবে। সব প্রক্রিয়া শেষ করে ২০২৬ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন।

এরপরই যেকোনও সময় লোকসভা নির্বাচনের ঘোষণা আসতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

কী বললেন কমিশনের শীর্ষ কর্তারা?
বৃহস্পতিবার সকালে নির্বাচন কমিশনের সিইও মনোজ আগরওয়াল, বিশেষ রোল পর্যবেক্ষক সুব্রত গুপ্তসহ শীর্ষ আধিকারিকরা রাজ্য ও কেন্দ্রীয় ২৫টি সরকারি সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

উদ্দেশ্য ছিল—
নির্বাচনের আগে নিয়মিত নজরদারি
তথ্য সংগ্রহের উন্নয়ন
সংস্থাগুলির মধ্যে সমন্বয়
ভোট প্রস্তুতি পর্যালোচনা

আরও পড়ুন
গীতাপাঠ অনুষ্ঠানে ‘নিরামিষ–আমিষ’ বিতর্কে উত্তাপ, জামিন পেয়েই পাল্টা অভিযোগ অভিযুক্তদের

এই বৈঠকের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট করেছে যে, এবার ভোটার তালিকা নির্ভুল করার কাজকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন
SIR: বাংলায় বাড়ল না! ১২ রাজ্যে এসআইআর সময় বাড়াল নির্বাচন কমিশন, জল্পনার শেষ

শুধু হজম শক্তি বাড়িয়ে দেয় না, জোয়ান খেলে শরীরের অনেক সমস্যা নিবারণ হয় মুখরোচক বাদাম চিক্কি খেতে দারুন, বাড়িতেই তৈরী হবে, জানুন রেসিপি এইভাবে তেজপাতা পোড়ালে দুশ্চিন্তা কেটে যাবে 5 Best Night Creams ৪ মাসের শিশু ২৪০ কোটির মালিক