রাজধানী দিল্লি আবারও বোমাতঙ্কে থরহরিকম্প। মঙ্গলবার সকালেই শহরের অন্তত তিনটি গুরুত্বপূর্ণ আদালতে বোমা হামলার হুমকি আসে ইমেলের মাধ্যমে। তিস হাজারি আদালত, সাকেত জেলা আদালত, রোহিণী ও পাতিয়ালা হাউস আদালত—সব জায়গাতেই কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে পৌঁছে যায় সন্দেহজনক বোমা হামলার বার্তা। ফলে এলাকায় ছড়ায় ব্যাপক আতঙ্ক।
সংশ্লিষ্ট আদালতগুলির কর্মী, আইনজীবী, বিচারপ্রার্থী সহ সাধারণ মানুষকে দ্রুত চত্বর খালি করতে বলা হয়। মুহূর্তে মোতায়েন হয় বিশাল পুলিশবাহিনী, বম্ব স্কোয়াড এবং স্নিফার ডগ। আদালত প্রাঙ্গণের প্রতিটি কোণায় শুরু হয় তল্লাশি অভিযান।
সম্প্রতি দিল্লিতে পরপর বিস্ফোরণের ঘটনায় জনজীবন খানিকটা অস্থির হয়ে পড়েছিল। পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করলেও আবারও নতুন করে এই হুমকি রাজধানীর নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে। নিরাপত্তা সূত্রে জানা যায়, আজ সকালে সাকেত ও তিস হাজারি আদালত ছাড়াও আরও অন্তত একটি আদালতে বোমা হামলার হুমকি আসে ইমেলের মাধ্যমে। কোনো কিছু অস্বাভাবিক না পেলেও, সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে পুরো চত্বর খালি রাখা হয়।
শুধু আদালত নয়, একই সঙ্গে রাজধানীর দ্বারকা অঞ্চলের একটি এবং প্রশান্ত বিহার এলাকার দুটি সিআরপিএফ স্কুলেও বোমার হুমকি সংবলিত ইমেল পৌঁছনোর অভিযোগ উঠেছে। স্কুলগুলিতেও তৎক্ষণাৎ নিরাপত্তা জোরদার করা হয় এবং ছাত্রছাত্রীদের নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যায় কর্তৃপক্ষ।
বম্ব স্কোয়াডের পাশাপাশি দিল্লি পুলিশ সাইবার সেলের দল ইমেলের উৎস অনুসন্ধানে নেমেছে। প্রাথমিক অনুমান, আতঙ্ক ছড়ানোর উদ্দেশ্যেই এই ইমেল পাঠানো হয়েছে। তবে কোনো সম্ভাবনাকে নস্যাৎ না করে তদন্তকারীরা সবদিকই খতিয়ে দেখছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, হুমকির বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে এবং তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট আদালত ও বিদ্যালয়গুলিতে উচ্চ সতর্কতা বজায় থাকবে। রাজধানীতে এমন জোড়া বোমাতঙ্ক ঘিরে উদ্বিগ্ন সাধারণ মানুষ। নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করার দায়িত্বও বেড়েছে প্রশাসনের উপর।
আরও পড়ুন
হলদিয়া-দিঘা রুটে ফের সরকারি বাস, স্বস্তি যাত্রীদের
